শান্তনু নস্কর, গোসাবা: বর্ষার (Monsoon) আগেই গোসাবার (Gosaba) দয়াপুরে গোমর নদীর বাঁধে ধস। প্লাবনের আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের। দ্রুত বাঁধ মেরামতির আশ্বাস দিয়েছেন গোসাবার বিধায়ক (MLA) ও সেচ দফতরের আধিকারিকরা। পাকাপোক্ত বাঁধ তৈরির দাবি এলাকাবাসীর।


দয়াপুরে গোমর নদীর বাঁধে ধস: লাগাতার ভাঙছে পাড়,  এগিয়ে আসছে নদী। একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে স্থলভাগ। ভরা কটালে উত্তাল নদীর যেন সর্বগ্রাসী রূপ। আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে, জলের চাপে ভেঙে পড়ছে মাটির তৈরি, কাঁচা বাঁধ। সব হারানোর আতঙ্কে ঘুম উড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার দয়াপুরের বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, ভাঙন ঠেকাতে মজবুত বাঁধ তৈরি হোক।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার বাসিন্দা নিরঞ্জন গায়েন বলেন, “যে কোনও মুহুর্তে ঘরে জল ঢুকে যাবে, কী করব, বুঝতে পারছি না।’’ আরেক বাসিন্দা সুমন মণ্ডলের দাবি, “পাকাপোক্ত নদী বাঁধ চাই।’’ কাঁচা বাঁধ ভেঙে পড়ার খবর পেয়েই, ঘটনাস্থলে যান গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক। যান সেচ দফতরের আধিকারিকরাও। গোসাবার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল বলেন, পূর্ণিমার ভরা কটালে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বাঁধে চাপ পড়ে ধস নেমেছে। সেচ দফতরের কর্মীরা গিয়ে অবস্থা খতিয়ে দেখছে। দ্রুত মেরামতি করা হবে।’’ স্থানীয়রা অবশ্য বলছেন, কাঁচা বাঁধের মেরামতি করে সমস্যার সমাধান হবে না। পাকাপোক্ত বাঁধ না তৈরি করলে, আশ্রয় হারাতে হতে পারে বহু গ্রামবাসীকে। প্রশাসন কি তাঁদের এই আবেদনে সাড়া দেবে? সেটাই দেখার।


বাঁকুড়া শহরে শুরু হয়েছে গন্ধেশ্বরী নদীর সংস্কার। দু’কুল ছাপিয়ে গন্ধেশ্বরীর জলে প্লাবিত হয় বাঁকুড়া শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। প্রতি বারের এই সমস্যা দূর করতে, এবার উদ্যোগী হল সেচ দফতর। শুরু হল মজে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সংস্কার। নদীর বুকে যন্ত্র নামিয়ে চলছে পলি ও আবর্জনা তোলার কাজ। সেচ দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ৬০০ মিটার এলাকাজুড়ে নদীর সংস্কার হবে। এজন্য খরচ হবে প্রায় ৪ কোটি টাকা।  তবে সেচ দফতরের এই কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটির তরফে দাবি করা হয়েছে, বিজ্ঞানসম্মত ভাবে নদীর সংস্কার করা হচ্ছে না।


আরও পড়ুন: Murshidabad News: মুর্শিদাবাদ শহরে গ্যাস লিক, তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর