দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গোসাবায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি। উত্তাল বিদ্যাধরী নদীতে আটকে গেল যাত্রীবাহী নৌকা। ভয়াবহ ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। কোনওক্রমে বরাত জোরে রক্ষা নৌকাযাত্রীদের।

আরও পড়ুন, মোবাইল চুরির অভিযোগ, না খাইয়ে রেখে নাবালককে ঝুলিয়ে 'মার-ইলেকট্রিক শক' ! কলকাতায় কাজে গিয়ে আর ফেরেনি সে..

দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতা চরমে। কিন্তু তারই মাঝে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। তবে গোসাবা এলাকায় আচমকাই প্রবল বর্ষণ ও ঝড় শুরু হয়। গতসপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। মূলত বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে এই ঝড় ও বৃষ্টির মুখে পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে যতটা সতর্কবার্তা ছিল, সেই হারে ঝড় ও বৃষ্টির মুখে পড়তে হয়নি মেদিনীপুরবাসীকে। 

তবে এদিন আচমকাই সন্ধে নাগাদ গোসাবায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। ঝড়ের দাপটে চারিদিক ঝাপসা হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, বিদ্যাধরী নদীতে উত্তাল অবস্থা দেখা যায়। এদিকে সেই মুহূর্তে নদীতে যাত্রীবাহী নৌকা যাতায়াত করছিল। আচমকাই ঝড় ও বৃষ্টিতে মাঝ নদীতেই আটকে পড়ে। বলাইবাহুল্য, ওই পরিস্থিতি নদীর তীরবর্তী এলাকায় যাওয়ার ঝুঁকি কোনওমতেই নিতে চায়নি মাঝি।

কয়েকবছর আগে দক্ষিণশ্বরের কাছাকাছি, গঙ্গায় নৌকাভ্রমণে বেরিয়ে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির মুখে পড়েছিল। তারপরের ঘটনা সকলেই জানা। তাই দুর্যোগের মাঝে মাথা ঠান্ডা রাখা একটা বড় ইস্যু। মাঝির সিদ্ধান্ত ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই কেবল রক্ষা পেতে পারে যাত্রীদের প্রাণ। তবে এর পাশাপাশি আবহাওয়া দফতরের খবরও সঙ্গে রাখা জরুরী। কীকী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে, বা কোন কোন এলাকায় সতর্কতা দেওয়া হয়েছে, তার উপরও খেয়াল রাখা জরুরি। যাত্রীদেরও সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। 

তবে রাজ্যে যে অবস্থাই হোক না কেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত অবস্থা উত্তর-পূর্ব ভারতে। প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছে অনেকের। বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে অসম, সিকিমে। তবে জোরকদমে উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে সেনা-NDRF.

(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)