রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র (Valentines Day) আগে স্বামীর কাছে ১৫ হাজার টাকা চেয়ে না পাওয়ায় স্বামীকে কাচের গ্লাস দিয়ে মার স্ত্রীর। এরজেরে মাথা ফাটল স্বামীর। কেড়ে নেওয়া হয়েছে গাড়ির চাবিও। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। মাথায় ৬টি সেলাইও পড়েছে। এই ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত স্বামী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বছর আটেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া সবুজ সংঘের বাসিন্দা অজিত চৌধুরী ও মামনি। তাদের ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তানও আছে। সোমবার স্বামীর কাছে টাকা দাবি করে মামনি দেবী। ১৫ হাজার টাকা লাগবে বলে জানান। বারবার চাওয়ার পরেও না দেওয়ায় কাচের গ্লাস দিয়ে স্বামীর মাথায় মারেন। আক্রান্ত অজিত চৌধুরীর অভিযোগ এর সাথে জড়িত রয়েছে মামনির বাবা অচিন্ত মন্ডলও। দুজনের নামেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বাবার টাকার দরকার আছে জেনে কাচের গ্লাস দিয়ে মেরে তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী প্রায়ই তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ অজিত বাবুর।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের দাম্পত্যে মারধরের একাধিক অভিযোগ বারবার অভিযোগ উঠে আসছে। একাধিক সম্পর্কে ভাঙন ধরাচ্ছে সন্দেহ, দাবি দাওয়া। স্ত্রীকে মারধরের ঘটনা তো ভুরিভুরি রয়েছে এরাজ্যে তথা দেশে। তবে এবার একটু উলটপূরাণ। এর আগে সল্টলেকে স্ত্রীর হাতে বেধড়ক মার খেয়েছিলেন স্বামী। সেই সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরালও হয়েছিল। আর এবার ফের স্ত্রীর হাতে বেধড়ক মার খেলেন স্বামী দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তবে এই মুহূর্তে একাধিক দাম্পত্যে চিড় ধরাচ্ছে পরকীয়া, কিংবা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ। কারণ সেদিক থেকে দেখতে গেলে শাখা সিঁদুর খুলে ফেলার বড়সড় শাস্তি পেয়েছেন স্ত্রী স্বামীর হাতে।
আরও পড়ুন, ভুয়ো নিয়োগকাণ্ডের জের, আজ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের মেডিক্যাল চেক আপ
শাঁখা-সিঁদুর পরা বন্ধ করায়, সন্দেহ হয়েছিল স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আর সেই কারণেই গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করে স্বামী। এমনই ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির ভক্তিনগরে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম সুপ্রিয়া বৈশ্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, কোচবিহারের সিতাইয়ের বাসিন্দা ওই দম্পতি শিলিগুড়ি শহরে ভাড়া থাকতেন। স্ত্রী সম্প্রতি শাঁখা সিঁদুর পরা ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ।। তাঁর আচরণে সন্দেহ হওয়ায়, দাম্পত্য সম্পর্কে অবনতি ঘটে। রবিবার বচসার জেরে স্ত্রীকে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন স্বামী সুদীপ বৈশ্য। গুরুতর জখম স্ত্রীকে তিনিই হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করায়, স্বামীকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।