ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, জয়দীপ হালদার ও সুদীপ্ত আচার্য, মগরাহাট: মগরাহাটে জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা ফেরার। কে এই জানে আলম মোল্লা? সূত্রের খবর, চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিল মূল অভিযুক্ত। অন্যদিকে, মগরাহাটের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


মগরাহাটে জোড়া খুন: মগরাহাটে জোড়া খুন। সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর বন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড। অভিযোগের তির স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর দিকে। যার নাম জানে আলম মোল্লা। পুলিশ আর স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, মগরাহাটের মোহনপুরে সার-সহ একাধিক জিনিসপত্রের ব্যবসা আছে জানে আলম মোল্লার। অতীতে বিপুল প্রতারণার অভিযোগে তিনি গ্রেফতারও হন। এহেন জানে আলম মোল্লা প্রভাবশালী ও ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্য। মগরাহাটের মোহনপুরে বিরাট ব্যবসা।


কে এই জানে আলম মোল্লা? খুনে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর আত্মীয় বলেন, “জানে আলম এখানে থাকত না, কারখানাতেই পরিবার নিয়ে থাকে’’ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল জানে আলম মোল্লার পরিবার কতটা প্রভাবশালী।  তাঁর এক ভাই জাহাঙ্গির আলম মোল্লার মোহনপুরেরই বড় ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা। ২ ভাই আজিজুর ও আতিকুর রহমান মোল্লা পৈতৃক মাছের ভেড়ির কাজকর্ম সামলান। আর জানে আলমের সেজ ভাই আলমগীর আলি মোল্লা মোহনপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান। ভাইয়ের বিরুদ্ধে জোড়া খুনের অভিযোগ উঠলেও, এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি আলমগীর।


এই প্রেক্ষাপটেই, খুন হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী তাঁর বন্ধু ও বস্ত্র ব্যবসায়ী মলয় মাখাল এবং জোড়া খুনে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জানে আলম মোল্লার রাজনৈতিক যোগসূত্র নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি শোনা গেছে স্থানীয় সূত্রে। এই সূত্র ধরেই ফের একবার রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মগরাহাটে জলজ্যান্ত ২ যুবক খুন, একজন সিভিক, তৃণমূল কর্মীও, অভিযুক্ত তৃণমূলের, ভাগ বাঁটোয়ারার লড়াই, সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে, পশ্চিমবাংলাটাকে বারুদের স্তুপের ওপর নিয়ে গেছে।’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই, সমাজবিরোধীরা ভয়মুক্ত, তদন্তকে প্রভিবিত হওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী বা তার দল সমাজ বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ করার অবস্থায় নেই।’’


আরও পড়ুন: Pashchim Bardhaman: ভোটযুদ্ধে সরগরম আসানসোল! অগ্নিমিত্রা পালের প্রচারে আসা নাট্যকর্মীদের পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ