দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আইএসএফ-তৃণমূলের সংঘর্ষে  অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। রণক্ষেত্র ধর্মতলা, গ্রেফতার আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। মূলত আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানোকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটে। এমনই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, 'নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) ভাল মানুষ।' কিন্তু আচমকা কেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে আইএসএফ বিধায়কের নামে প্রশংসা ? কারণটা বোঝা গেল শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়ায় শেষটায়।


শুভেন্দু বলেন, 'নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) ভাল মানুষ। তাঁর সঙ্গে আমার মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে, বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তৃণমূলকে হঠাতে চান নাকি বিজেপির বিরোধিতা করতে চান', ভাঙড়ের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু অধিকারীর। প্রসঙ্গত, হাতিশালায় পতাকা লাগানোকে ঘিরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূল-আইএসএফের। সংঘর্ষে ভাঙড়ে ধুন্ধুমার, আঁচ পড়ল কলকাতায়, ধর্মতলায় অবরোধ। হাতিশালায় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ। আইএসএফের উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ শাসকদলের। দুপক্ষের সংঘর্ষে ইটবৃষ্টি। বোমাবাজি, গুলি চলারও অভিযোগ। পুড়ল তৃণমূলের অফিস।


ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে ভাঙড়ে অশান্তির আঁচ কলকাতায়। ধর্মতলায় আইএসএফের অবরোধ। তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ। টেনে-হিঁচড়ে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। এরপর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। ইট ছুড়তে ছুড়তে পুলিশকে তাড়া করে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। ঘোরাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পৌঁছয় আরও পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে থাকে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে আইএসএফ। ঘটনা ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। জখম হন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন, তৃণমূলে ফেরার জল্পনার মধ্যেই 'জয় শ্রীরাম'-র ভিডিও পোস্ট হিরণের !


শনিবার দিনটা যে অশান্ত হতে চলেছে, সেটা বোঝা গেছিল সকাল থেকেই। এদিন ছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা ISF-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানো নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তির সূত্রপাত। ISF- এর অভিযোগ, ভাঙড়ের হাতিশালা মোড়ে পতাকা লাগাতে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জুলফিকার মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, পতাকা লাগানোর সময়, তাঁদের কর্মী সমর্থকদের গালিগালাজ ও মারধর করেন ISF'এর সদস্য়রা। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। পুলিশের সামনেই তৃণমূল এবং ISF-এর তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়।শুরু হয় বোমাবাজি,ওঠে গুলি চালানোর অভিযোগও।দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক আহত হয় বলে অভিযোগ। এরমধ্যেই ISF কর্মীরা একের পর এক গাড়িতে, কলকাতায় প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে রওনা দিতে থাকেন। তখনও ফের ISF-এর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গাড়ি।