জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতির অভিযোগ। পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত তপনার মোড়ে বুধবার আনুমানিক রাত পৌনে দুটো নাগাদ একতালা বাড়ির সদর দরজা ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢোকে ডাকাত দল (Robbery Case)।  দরজা ভাঙার শব্দ শুনতে পেয়ে সুমন মন্ডল যিনি পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তিনি দরজার দিকে তাকিয়ে, কে এসেছে জানতে চাইলে, বাইরে থেকে ডাকাত দল নিজেদের 'পুলিশ' পরিচয় দেয়। কথা শেষ হতে না হতেই ১৫ জনের ডাকাত দল সদর দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেই বাড়ি সদস্যদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও মূল্যবান গহনা সমেত লক্ষাধিক টাকার দ্রব্যাদি লুট করে নিয়ে চলে যায়। ডাকাত দলের প্রত্যেকের মুখ বাধা ছিলো রুমাল দিয়ে। রাতেই বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও তপনা মোড়ের সিসিটিভি অকেজো থাকায় কার্যত কোন কাজেই লাগেনি সিসিটিভি। সমগ্র ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিষ্ণুপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা।


অগাস্ট মাসে হাওড়ার জগত্‍বল্লভপুরে পরিবহণ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বাড়িতে  একটি দুঃসাহসিক ডাকাতির (Dacoity) অভিযোগ ওঠে। বাড়িতে হানা দেয় ৬ সশস্ত্র দুষ্কৃতী। বাড়ির মালিক, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে সোনার গয়না, টাকা লুঠ করে দুষ্কৃতীরা পালায় বলে অভিযোগ। ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের গ্যাং এর পিছনে থাকতে পারে বলে সন্দেহ।মাঝরাতে বেপরোয়া ডাকাতি। রাত ৩ টেয় গৃহস্থের বাড়িতে হানা দেয় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে লুঠপাটের অভিযোগ। গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে  হাওড়ার জগত্‍বল্লভপুরে ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিতলা এলাকায়। বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন পরিবহণ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী প্রভাসকুমার ঘোষ।  তিনি সপরিবারে দোতলায় থাকেন। নীচের তলা ভাড়া দেন বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানের জন্য। তাঁর অভিযোগ, গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ৬ জন দুষ্কৃতী। কোলাপসিবল গেট ভেঙে তারা বাড়িতে ঢুকে পড়ে।


আরও পড়ুন, নবম-দশমে ১৮৩ ভুয়ো সুপারিশের তালিকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ বিচারপতির


গৃহকর্তার দাবি, একজন বাইরে পাহারায় ছিল, বাকিরা সশস্ত্র অবস্থায় ঘরে ঢুকে হামলা চালায়। অভিযোগ, গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রীকে আচমকা মারধর শুরু করে। চিত্‍কার শুনে পাশের ঘর থেকে মেয়ে বেরিয়ে এলে তাঁর মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীর দাবি, এরপর ৩ জনকে বেঁধে রেখে, আলমারি ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও নগদ লুঠপাট করে দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় তারা সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, গৃহকর্তার দাবি, বেরনোর সময় দুষ্কৃতীরা শাসিয়ে যায়, ১০ মিনিট যেনও কেউ ঘর থেকে না বের হয়।