দক্ষিণ ২৪ পরগনা : পুজোর মুখে ডায়মন্ড হারবারের বারদ্রোণে জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যু ! জল ভেবে মদের সঙ্গে ফর্মালিন খেয়ে ২ জনের মৃত্যু, দাবি পুলিশের। মৃত ঠাকুরদাস কামার ও সাধন মিস্ত্রিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পুলিশের দাবি, মৃত ঠাকুরদাস কামারের ছেলের খামারের পাশে বসে মদ্যপান করেন দু'জন। এরপরেই জল ভেবে মদের সঙ্গে ফর্মালিন মিশিয়ে খেয়ে ফেলায় মৃত্যু হয় তাঁদের। ইতিমধ্যেই খামার থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বাইশ সালে এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্য়ে এসেছিল।
তবে এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এমন মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী এরাজ্য। বারুইপুরে মদের সঙ্গে ভুল করে কীটনাশক মিশিয়ে খেয়ে ফেলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আশঙ্কাজনক ছিল আরও ৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছিল বারুইপুরের রানাবেলিয়াঘাটা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, রথীন গায়েনের পোলট্রি ফার্মে মদের আসর বসেছিল। মদ্যপানের সময় জল শেষ হয়ে যাওয়ায় ভুল করে কীটনাশক মিশিয়ে খেয়ে ফেলেছিলেন কয়েকজন। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ৩ জনকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
অপর ঘটনাটি ঘটেছিল, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। অনুষ্ঠান বাড়িতে এসে মৃত্যু হয়েছিল দুই বিয়াইয়ের। বিষ মদ খেয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার উড়াসাই গ্রামে। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল এলাকায়। মৃতদের নাম সন্তু রুইদাস ও গণেশ রুইদাস। উড়াসাই গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ রুইদাস। তাঁর বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে এসেছিলেন মুখবসান এলাকার বাসিন্দা সন্তু রুইদাস এবং গড়বেতার বাসিন্দা গণেশ রুইদাস। দুই বিয়াই মিলে মদ্যপান করতে বসেছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। ওই বোতলে বিষাক্ত মদ জাতীয় কিচ্ছু ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছিলেন মৃতের পরিজনরা।
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)