রঞ্জিৎ সাউ, সল্টলেক: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ছবি দিয়ে সন্ধান চাই পোস্টার নিয়ে অভিনব আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। 


আজ সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় সংগঠনের তরফে। বিকাশ ভবনের সামনে দেওয়ালে "বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ত্রিপুরায়, শিক্ষকরা বঞ্চিত অসহায়" পোস্টার মেরে দেওয়া হয় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে। 


বিকাশ ভবনের গেটে বসে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি, বল নিয়ে খেলা করেন তাঁরা। এই ঘটনায় ৪ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে বিধাননগর পুলিশ।


বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে ৩৬০০ জন শিক্ষিকা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে এবং ৩৬ জন একাডেমিক সুপারভাইজার কর্মরত আছেন। 


তাঁদের শিক্ষা দফতরে নিয়ে আসার বিষয়ে মন্ত্রিসভাতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেইমতো পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে তাঁদের ফাইল অর্থ দফতরে এবং শিক্ষা দফতরে দীর্ঘদিন যাবৎ আটকে আছে। ফলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও বার্ষিক ৩% ইনক্রিমেন্ট ও অবসরকালীন তিন লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 


এমতাবস্থায় বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলি হলো--


১) পঞ্চায়েতের অধীনস্থ এসএসকে,এমএসকে ও এএস-রা যেমন শিক্ষা দফতরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তেমনি পৌর ও নগরোন্নয়নের অধীনস্থ এসএসকে, এমএসকে ও এএস-দের শিক্ষা দফতরে যুক্ত করতে হবে এবং বার্ষিক ৩% বেতন বৃদ্ধি ও তিন লক্ষ টাকা অবসরকালীন বেনিফিট দিতে হবে। 


২) রাজ্যের ৬০০ জন একাডেমিক সুপারভাইজার ও ১৭ জন DQM কর্মীদের শিক্ষা দফতরে সম্মানজনক পদ মর্যাদা সহ বকেয়া বার্ষিক ৩% বেতন বৃদ্ধি ও অবসরকালীন তিন লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করতে হবে।


৩) কেন্দ্রে জনবিরোধী বিজেপি সরকার দ্বারা শিক্ষা বিরোধী নীতি জাতীয় শিক্ষানীতির কবল থেকে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের জীবন ও জীবিকা সুনিশ্চিত করতে হবে। 


৪) মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো পার্শ্বশিক্ষক সহ সমগ্র শিক্ষা অভিযানের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সহ স্থায়ী শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ন্যায্য পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।