কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডায়মন্ড-মডেল’-এর র্যাপিড টেস্টের সংখ্যা এবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে, খবর সূত্রের।
গত চারদিনে রাজ্যের মোট পরীক্ষার সাড়ে ২৭ শতাংশই দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। গত চারদিনে রাজ্যে মোট পরীক্ষার সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৮৩। শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই করোনা পরীক্ষার সংখ্যা ৮১ হাজার ৪৭৭। করোনা মোকাবিলায় ডায়মন্ড হারবারে লাগাতার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে র্যাপিড টেস্ট অন্তর্ভুক্ত হচ্ছিল না বলে বিতর্ক শুরু হয়। তারপর বুলেটিনে র্যাপিড টেস্টের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করছে স্বাস্থ্য দফতর, খবর সূত্রের।
কড়াকড়ি ও প্রশাসনিক তৎপরতার কারণে কমেছে সংক্রমণের হার। তাই এবার গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেই ‘ডায়মন্ডহারবার মডেল’-এ এগোনোর সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন জানিয়েছেন, ‘ডায়মন্ডহারবার মডেল আমরা জেলাতে নিয়ে গিয়েছি। এর ইমপ্যাক্ট পাচ্ছি, কেস কমছে।’
তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায়, ডিসেম্বরের শেষ থেকেই রাজ্যে ঝড়ের গতিতে বাড়ছিল কোভিড সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেই সময়, নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ডহারবারে একগুচ্ছ বিধি নিষেধ জারির কথা জানান অভিষেক। সঙ্গে গতি আনা হয় কোভিড টেস্টিংয়েও। ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দর জন্মবার্ষিকীতে শুধু ডায়মন্ডহারবার লোকসভা এলাকাতেই ৫৩ হাজারের বেশি করোনা পরীক্ষা করা হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি, গত ৬ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির গোড়া পর্যন্ত ডায়মন্ডহারবার লোকসভা এলাকায় করোনার পজিটিভিটি রেট ২২ শতাংশে পৌঁছে যায়। সেখানে সংক্রমণের হার নেমে এসেছে মাত্র ১.৭৯ শতাংশে। শনিবার রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১১.১৩ শতাংশ। সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পজিটিভিটি রেট ৮.৮৩ শতাংশ। ডায়মন্ডহারবারে সেই হার ১.৭৯ শতাংশ।
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী দাবি করে ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, ‘আবার পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নিচে। ধারাবাহিক প্রচেষ্টার দুর্দান্ত ফল। সামনের সারির কর্মীদের পাশাপাশি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অভিনন্দন জানাই। যাঁরা পজিটিভিটি রেট কমাতে এবং ডায়মন্ড হারবার সংসদীয় এলাকার সবার ভালর জন্য কাজ করেছেন।’
এই পরিস্থিতিতে গোটা জেলায় ডায়মন্ডহারবার মডেল অনুসরণ করার জন্য, ডক্টরস অন হুইলস, টেস্টিং অন হুইলসে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ‘যেখানে বেশি কেস হচ্ছে সেখানে কনসেনট্রেট করছি। আরটিপিসিআইর করছ। রাজপুর, সোনারপুর, বারুইপুরে বাজার বন্ধ রাথা হয়েছে। জেটি ঘাটেও নজরদার চালাচ্ছি।’
গত কয়েকদিনে ১৫ হাজারের বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে ডায়মন্ডহারবারে। পাশাপাশি ডাবল মাস্ক পরা, কোভিড বিধি পালনেও জোর দেওয়া হয়েছে। এবার সেই ছবি দেখা যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে।