গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে আত্মীয়-পরিজনের নাম আবাস-তালিকায় তুলেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা । তার জন্য ১০ থেকে ৪০ হাজার কাটমানিও নিয়েছেন তাঁরা। দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। বিধায়কই কাটমানি নেন বলে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের পঞ্চাযেত প্রধান।
ফের তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে তৃণমূল! দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক। পাল্টা আক্রমণ পঞ্চায়েত প্রধানের। ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) ঘিরে শোরগোল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উস্তিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে উস্তিতে যান গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সেখেনে গিয়ে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদেরর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে আত্মীয়-পরিজনের নাম আবাস-তালিকায় তুলেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। এর জন্য কাটমানিও নিয়েছেন তাঁরা। ভাইরাল হয়, তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্যের ভিডিও।
অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিধায়ককেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাবি করেছেন শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান। ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা । দলীয় প্রধান ও বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়ে পরে, সুর নরম করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। গত মাসেই জেলার উত্তরকুসুম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে একই অভিযোগ করেন বিধায়ক । পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘরোয়া কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে তৃণমূল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও একই ঘটনা: এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দিতে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে । কাটমানি না দেওয়ায় তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে । একটি অডিও ক্লিপ সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে । অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত । তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP) ।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের আবাস-দুর্নীতিতে নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার ১০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির তৃণমূল পরিচালিত রামকিশোরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। অভিযোগকারীর দাবি, আবাস প্লাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দিতে ১০ হাজার টাকা কাটমানি চান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শেখ শামিম। প্রমাণ হিসেবে একটি অডিও ক্লিপও প্রকাশ্যে এনেছেন অভিযোগকারী। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।