রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : মানুষের সমস্যার কথা ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে। এলাকায় ১০০ শতাংশ কাজ করা যায় না। ফলে আমাকেও অভাব-অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। বাকি কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। সোনারপুরের পোলঘাট এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির প্রচারে গিয়ে এই মন্তব্য করেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র (Lovely Maitra)।


দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের তারকা-অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Sayantika Banerjee) ও রামপুরহাটে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে (Shatabdi Roy) ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন তৃণমূলের তারকা-বিধায়ক। 


ক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা


কর্মসূচির নাম দিদির সুরক্ষা কবচ। উদ্দেশ্য় মানুষের অভিযোগ শোনা। কিন্তু সেই অভিযানে মানুষের কাছে গিয়ে ক্রমাগত তাঁদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান থেকে শতাব্দী রায়। মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক থেকে বীরবাহা হাঁসদা। দেবাংশু ভট্টাচার্য থেকে সায়ন্তিকা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। জেলায় জেলায় ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের দিদির দূতরা। 


এরমাঝেই দত্তপুকুরে রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে, খাদ্য়মন্ত্রীর সামনেই তৃণমূল কর্মীর হাতে চড় খেলেন বিজেপি নেতা! যার জেরে তৃণমূলের জনসংযোগ কৌশল প্রশ্নের মুখে পড়ল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। এতদিন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখে বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল, দিদির দূতেদের সামনে পেয়ে মানুষের ক্ষোভ বেরিয়ে আসুক এটাই কি চাইছে তৃণমূল ? এটাই কি তাদের কৌশল ? যাতে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ভোটবাক্সে না ঘটে? এই প্রশ্ন আরও জোরাল করেছিল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য়। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'বিক্ষোভ তো ভালো! মানুষের ক্ষোভ বের হয়ে আসবে! দুঃখগুলোও আমরা জানতে পারি। এবং সেটা ধরে উপশম করতে সুবিধা হবে'। যদিও শনিবারের চড়ের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ল সেই উদ্দেশ্য়। চড় মারার ঘটনায় তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরমাঝেই লাভলি মৈত্র-র এই মন্তব্য।                                                         


আরও পড়ুন- 'তোমরা কামড়াতে এলে মাথাটা ছেঁচে দেব' বেলাগাম হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের