ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: ধর্মতলায় অবস্থান প্রত্যাহার করলেন ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা (South 24 Parganas)। টানা ৩৭ দিন আন্দোলন (TET Agitation) প্রত্যাহার করলেন তাঁরা। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high Court) রায় দিতে পারে। তার আগেই এমন সিদ্ধান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের (Primary TET)।


৩৭ দিন পর অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের


চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁদের। তাতে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে। সোমবারই কুণালের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তাঁরা। তার পরই ভাবনি-চিন্তা করে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। 


৩৭ দিন টানা অবস্থান চললেও, আসলে ১৩ বছরের লড়াই। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০০৯ সালে বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পরীক্ষা দেন। পরে সেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয় বারও পরীক্ষা দেন তাঁরা। তার পর ১৩ বছর কেটে গেলেও, চাকরি হয়নি। অনেক প্রতিশ্রুতি পেলেও হয়নি চাকরি। তাতে আদালতের অনুমতি নিয়েই গান্ধী মূর্তির নিচে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। তার পর ৩৭ দিন পার হয়ে গিয়েছে।  এতদিনে একটু হলেও আশার আলো দেখছেন। 


আরও পড়ুন: দু’-দু’বার সুকন্যার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা! কেষ্ট-কন্যাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল সিবিআই


যত দিন না নিয়োগপত্র পাচ্ছেন, আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাহলে এখন মনবদল কেন! জবাবে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "আমরা আদালত এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলাম। আসলে ফুটবলের মতো হয়েছিলাম। এদিক, ওদিক ঠেলে দিতেন সকলে। জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়েও সুরাহা হয়নি সমস্যার।"


এত দিন পর আশার আলো কী ভাবে দেখলেন, তা জানাতে ওই চাকরিপ্রার্থী বলেন, "গত ১৩ বছরে সোমবারই প্রথম আলোচনার সুযোগ পাই। নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা ছিল। ডিসি সাউথ আমাদের আলোচনার ব্য়বস্থা করে দেন। তার পর কুণাল সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়। উনি জানান, আদালত রায় দিলে আর এক মুহূর্তও দেরি হবে না। সুসম্পন্ন হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এক বছরের কাজ এক সপ্তাহে সেরে ফেলা হবে।"


কুণাল ঘোষের সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক ইঙ্গিত!


বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টেয় রায় শোনাতে পারে হাইকোর্ট। তাই আপাতত ধর্মতলা থেকে সরছেন আন্দোলনকারীরা। তবে ডিপিএসসি অফিসের সামনে বৃহস্পতিবার থেকে নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।  তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ডিসি সাহেব সুরাহার আশ্বাস দিয়েছে। আদালতও রায় দিতে চলেছে। তাই সকলকে সম্মান জানিয়েই ধর্মতসলা থেকে সরছেন তাঁরা।