গৌতম মণ্ডল, তির: জেলা প্রাথমিক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সরকারি বরাদ্দ রয়েছে। তার পরও বিভিন্ন স্কুল, শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের থেকে জোর করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ। সেই নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তেতে উঠছে পরিস্থিতি। শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের থেকে জোর করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন শাসকদল তৃণমূলের শিক্ষা সেলের শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্ব। অভিযোগের তির জেলার অবর বিদ্য়ালয় পরিদর্শকদের বিরুদ্ধে। (South 24 Parganas News)
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম গোটা রাজ্য। সেই আবহেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জোর করে স্কুল, শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের থেকে জোর করে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠছে। শাসকদল তৃণমূলের শিক্ষা সেলই এই অভিযোগে সরব হয়েছে। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তারা। তৃণমূলের শিক্ষা সেলের অভিযোগ, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকরা চাঁদা তুলছে। এর নেপথ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানেরও ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের একাংশ। (Primary Education Board)
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের তরফে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক। যদিও অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের শিক্ষা সেলই যেহেতু জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলছে, তাই বিষয়টি অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসকদলকেও।
আগামী ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি জেলাস্তরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যা অনুষ্ঠিত হবে সোনারপুরে। জেলার পাঁচটি মহকুমার ৫১টি চক্রের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে মহকুমা স্তরের প্রতিযোগিতাও। প্রতিটি স্তরের জন্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। জেলা ক্রীড়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার পরেও বিভিন্ন স্কুল এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে কিভাবে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে সরব শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
শুধু তাই নয়, জোর করে চাঁদা আদায় করা হলেও, তার কোনও রসিদ দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এর পাশাপাশি, স্কুলের বার্ষিক খরচের কম্পোজিট গ্র্যান্ড থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগও সামনে আসছে। এমনিতেই শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় গোটা রাজ্য। শাসকদলের দুঁদে নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেফতার হয়েছেন। সেই আবহে জোর করে চাঁদা আদায় এবং তার সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নাম জড়ানোয় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের অন্দরে।