দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাতসকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে জোড়া খুন ! দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন (TMC Leader Murder Case)। মৃত সইফুদ্দিন লস্কর ছিলেন তৃণমূলের বামনগাছি অঞ্চলের সভাপতি। তাঁর স্ত্রী বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। পাল্টা এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ।


স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। বাড়ির কাছেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষকৃতীরা। পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাজনৈতিক কারণ? নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা? কী কারণে খুন খতিয়ে দেখছে জয়নগর থানার পুলিশ।


প্রসঙ্গত, চলতিবছরেই নদিয়ার (Nadia)হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতের নাম খালেক মণ্ডল। হাঁসখালির রামনগরের বড় চুপড়িয়া গ্রামেই বাড়ি। গতকাল বাজারের মধ্যে চায়ের দোকানে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাসকে। এই ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও খুন, বোমাবাজি, অস্ত্র মজুত রাখার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একটি মামলায় বেশ কিছুদিন জেল খেটে তিনি ছাড়া পান।


কোচবিহারের এবং শীতলকুচিতেও হাড়হিমকরা হত্য়াকাণ্ড ঘটেছিল। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়, তাঁর স্বামী ও এক মেয়েকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ্য দিবালোকে ভরা বাজারের মধ্যে প্রথমে গুলি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর তাড়া করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি একাধিক গুলি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। নদিয়ার হাঁসখালিতে এভাবেই দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader Killed)। নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়া গ্রামে হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছিল।  


সম্প্রতি রক্তাক্ত হয়েছিল চোপড়া, তৃণমূলের হাতে তৃণমূল (TMC) খুনের অভিযোগ উঠেছিল।  পঞ্চায়েতে কাকে টিকিট ? বুথ কমিটির বৈঠকে গন্ডগোল, বেরোতেই গুলি (Shoot)কাণ্ড ঘটেছিল।পঞ্চায়েতে টিকিট নিয়ে বচসা হয়েছিল। তৃণমূলের হাতেই ২ তৃণমূলকর্মী খুন হয়েছিলেন।
চোপড়ায় বৈঠক থেকে বেরোতেই শ্যুটআউট, তৃণমূলকর্মী খুন হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক থেকে বেরোতেই গুলি, আহত হয়েছিলেন আরও ৩ জন। তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই গুলি করার অভিযোগ উঠেছিল।  
 


আরও পড়ুন, 'ডায়মন্ড হারবারের শেষ রাজা..', খোঁচা শুভেন্দুর, পাল্টা কুণাল


তবে শুধুই তৃণমূল নেতাই নয়, বিজেপি নেতা খুনেরও একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। ময়নার বাকচায় স্ত্রী, ছেলের সামনে মারধর করে, বিজেপি নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। তিনি বাকচায় বিজেপির ২৩৪ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন।