হিন্দোল দে ও রঞ্জিৎ সাউ, নরেন্দ্রপুর: পঞ্চমীর রাতে মাথায় রডের বাড়ি মেরে জখম করে দড়ি দিয়ে বাইকের সঙ্গে পা বেঁধে যুবককে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল নরেন্দ্রপুরের রেনিয়ার তিরিশ ফুট এলাকায়।
নবমীর দিন এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় আক্রান্ত যুবকের। বছর পঁয়ত্রিশের যুবকের নাম চন্দন রায়। বাড়ি রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার দক্ষিণ আনন্দ পল্লিতে।
মৃতের পরিবারের দাবি, বাইক জ্বালানোর অভিযোগে এ বছরের ১ জানুয়ারি স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে চন্দনের গন্ডগোল ও মারপিট হয়। এরপর থেকে এলাকাছাড়া ছিলেন চন্দন।
অভিযোগ, পঞ্চমীর দিন তাঁকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করে বাইকের সঙ্গে পা বেঁধে টেনে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পুলিশের টহলদারি ভ্যান আক্রান্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: বালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে জওয়ানের রহস্যমৃত্যু, জঙ্গল থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
ঘটনার দিনই অভিযুক্ত রীতেশ গুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুরনো শত্রুতার জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে।
এদিকে, নিউ ব্যারাকপুরের যুবকের রহস্যমৃত্যু। মধ্যমগ্রামে পুকুর থেকে উদ্ধার মৃতদেহ।মৃতের নাম শুভদীপ দে। পরিবারের দাবি, নবমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন বছর পঁচিশের যুবক। রাতে বাড়ি ফেরেননি। সন্ধেয় বন্ধ হয়ে যায় তাঁর মোবাইল ফোন।
গতকাল মধ্যমগ্রামের শ্রীপুর এলাকায় একটি পুকুর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শুভদীপ।
মহিলার স্বামী তাঁকে হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। কী কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ইসকন মন্দিরে হামলার অভিযোগ, পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে তৎপর হাসিনা প্রশাসন
অন্যদিকে, দশমীর রাতে ঠাকুর দেখতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির জেরে বোতল ভেঙে দুই যুবকের গলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কোচবিহারের দিনহাটার কৃষি মেলা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দশমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ভিড়ের চাপে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এই নিয়ে দু’ দল যুবকের মধ্যে বচসা বাধে। আচমকাই বোতল ভেঙে দুই যুবকের গলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গুরুতর জখম দুই যুবককে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক। সাময়িক উত্তেজনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, খতিয়ে দেখছে দিনহাটা থানার পুলিশ।