সুনীত হালদার, হাওড়া: দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের হিজলি স্টেশনে থার্ড লাইনের জন্য নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলায় ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আপ ও ডাউন মিলিয়ে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল। এই তালিকায় রয়েছে পুরী ও দক্ষিণ ভারতগামী একাধিক ট্রেন। 


একনজরে দেখে নেওয়া যাক বাতিল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের তালিকা



  • ১-৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাতিল আপ ও ডাউন শালিমার-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস। 

  • ১-৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাতিল আপ ও ডাউন হাওড়া-ভুবনেশ্বর জন শতাব্দী এক্সপ্রেস।

  • ফেব্রুয়ারির ১, ২ ও ৪ তারিখ বাতিল করা হয়েছে আপ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস। 

  • ডাউন ফলকনুমা এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে ৩১ জানুয়ারি, ১ ফেব্রুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি। 

  • ১-৪ ফেব্রুয়ারি বাতিল করা হয়েছে আপ শালিমার-হায়দরাবাদ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস।

  • ডাউন ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে ৩১ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 

  • আপ শালিমার-পুরী এক্সপ্রেস ১ ও ৩ ফেব্রুয়ারি বাতিল।

  • ডাউন পুরী-শালিমার এক্সপ্রেস বাতিল ৩১ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি। 

  • আপ হাওড়া-যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস ১ ও ৫ ফেব্রুয়ারি বাতিল করা হয়েছে।

  • ডাউন যশবন্তপুর-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস বাতিল ৩১ জানুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি।


উল্লেখ্য, ময়নাগুড়ির ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যাত্রী নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ে। একথা আগেই জানানো হয়েছিল তাঁদের তরফে। উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষত এখনও দগদগে। ময়নাগুড়ির দোমহনিতে সেই দুর্ঘটনার পর ফের নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় রেল। রেল সূত্রে খবর, দ্রুত বদলে ফেলা হবে পুরনো কোচ। সব ট্রেনে ধাপে ধাপে লাগানো হবে LHB কোচ। পাশাপাশি, নেওয়া হচ্ছে একগুচ্ছ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।


রেলমন্ত্রী, রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সব জোনের অধিকর্তাদের নিয়ে ভার্য়ুচাল বৈঠকে নেওয়া হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। রেল সূত্রে খবর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিবার ট্রেন ছাড়ার সময় ইঞ্জিন পরীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সুরক্ষার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেলে তবেই সেই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। 


কোনও স্টেশনে ট্রেন বেশিক্ষণ দাঁড়ালে সেখানেও পরীক্ষা হবে ইঞ্জিনের। সেই পরীক্ষার সময় লোকোপাইলট ও ট্রেনের ম্যানেজারে উপস্থিতি বাধ্যতামুলক। রেল লাইন পরীক্ষা আগের মতোই বাধ্যতামূলক ও সুনির্দিষ্ট করতে হবে। সেই কাজে যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, তার জন্য কর্মীদের অবস্থান জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্র্যাক করতে হবে।
 
বিশেষজ্ঞদের মতে, লিঙ্ক হফম্যান বুশ বা LHB কামরা থাকলে দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কম হতে পারে। কারণ নিরাপত্তার মাপকাঠিতে, সাধারণ ICF কোচের থেকে LHB কোচ এগিয়ে।  রেল সূত্রে খবর, ভার্চুয়ার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ICF কোচকে দ্রুত LHB কোচ রূপান্তরিত করা হবে।