আবির দত্ত, কলকাতা: আজ মহাষ্টমী (Mahaastami) ৷ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় কুমারী পুজো (Kumari Pujo)৷ বেলুড় মঠে কুমারীপুজোর আয়োজিত হয়। রাজ্যের মণ্ডপে মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, মাইকে স্তোত্রপাঠ চলে৷ দুপুর পেরোলেই সন্ধিপুজো। অষ্টমী পেরিয়ে নবমীতে প্রবেশ। হাতে আর মাত্র ২দিন৷ তাই উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম-সর্বত্রই উত্সবের আনন্দের ঢেউয়ে গা ভাসাতে তৈরি সবাই। বেলা বাড়তেই সঙ্গে সঙ্গেই মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়বে রঙিন জামা-কাপড়ে সাজা মানুষের ভিড়। বড়দের হাত ধরে ভিড়ের মাঝে কচি-কাঁচারাও৷ শুধু তো ঠাকুর দেখা নয় সঙ্গে দেদার আড্ডা, খাওয়া দাওয়া৷ নবমী নিশি ফুরোলেই তো পুজো শেষ। তাই মন খারাপ করা নবমীর আগে উত্সবের সুরে ভাসতে তৈরি তিলোত্তমা৷
শোভাবাজার রাজবাড়িতেও এদিন অষ্টমীর পুজো হয়। এবার ২৬৬ বছরে পা দিল শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। পৌরাণিক ও বেদ মতে এখানে পূজিত হন মা দুর্গা। রীতি মেনে আজ সকালে দেবীর মহাস্নান হয়। তারপর শুরু হয়েছে অষ্টমীপুজো। শোভাবাজার রাজবাড়িতে জড়ো হয়েছেন আত্মীয়-পরিজনেরা৷ অষ্টমী পুজোর পাশাপাশি, শোভাবাজার রাজ পরিবারে চলছে ভোগরান্নার প্রস্তুতিও৷
আরও পড়ুন, সঙ্গী সাবেকিয়ানা , ১০৪ বছরে পা দিল বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো
ইতিহাস, ঐতিহ্যে মেনে কুমারী পুজো হয় বেলুড় মঠে। দেবীকে মৃন্ময়ী রূপে আরাধনার পাশাপাশি কুমারীর মধ্যে মাতৃরূপ দর্শন, এই প্রথা মেনেই প্রতিবারের মতো এবারও বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে৷ ১৯০১ সালে মা সারদার উপস্থিতিতে ৯ জন কুমারীকে পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ৷ সেই থেকেই চলে আসছে এই প্রথা৷ কুমারী পুজো দেখতে সকাল থেকেই বেলুড় মঠে রয়েছে উপচে পড়া ভিড়৷
অন্যদিকে, ১০৪ বছরে পা দিল বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো। বর্তমান থিমের জোয়ারে গা না ভাসিয়ে, বরাবরই সাবেকিয়ানাকেই সঙ্গী করে তারা। এবারও সাবেকি প্রতিমায় ডাকের সাজ বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোয়। উত্তর কলকাতার এই পুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই পুজোর সূচনা।নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, নলিনীরঞ্জন সরকার-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন