রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ পাওয়ার পর ভাঙড়ে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) বিশেষ দল। একজন আইপিএসএর নেতৃত্বে বিশেষ দল আসলেন। লালবাজারের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত AC,DC পদমর্যাদার অফিসারদের নিয়ে ভাঙড় (Bhangar) থানায় আসলেন।। সেখানে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার বৈঠক করবেন। পরে ভাঙড় ও কাশিপুর থানা এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখবেন বলে খবর।


রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে করবেন বৈঠক।  ভাঙড় ও কাশীপুর থানা এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গাও ঘুরে দেখবেন, সূত্রের খবর। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফের সংঘর্ষে বারবার রক্তাক্ত হয় ভাঙড়।


পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়। গত বিধানসভা ভোটে সারা রাজ্যের মধ্যে এটিই একমাত্র আসন ছিল যেটি তৃণমূল এবং বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও দল জিতেছিল। এই আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন আইএসএফ প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকি। ওই ভোটে আইএসএফ- বাম ও কংগ্রেসের জোটে ছিল। তারপর থেকেই রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় বারবার আইএসএফ এবং তৃণমূলের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। আর সেই দ্বন্দ্ব সবচেয়ে রক্তাক্ত ও ভয়াবহ হয়েছে ভাঙড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের গোটা পর্ব জুড়ে অসংখ্য হিংসার ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ে। ঝরেছে একাধিক প্রাণ। হয়েছে বোমাবাজি। মনোনয়ন পর্বে বারবার আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়েছে এই এলাকায়। হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখেছিলেন রাজ্যপালও।


আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস তৈরি করার অভিযোগ এনেছিলেন আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লারা। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে গা জোয়ারি করে মনোনয়ন পত্র বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে আইএসএফ। ভোটের দিনেও রক্তাক্ত হয়েছে ভাঙড়। এমনকী গণনার রাতেও গুলিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী। পরিস্থিতি এমনই জায়গায় যায় যে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা ঘোষণা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দাবিতে ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকেও সেখানে ঢুকতে বাধা দিয়েছে রাজ্য পুলিস। তখনও পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে চলার অভিযোগ করেছিলেন নৌশাদ।  


ভাঙড়ে বারবার হিংসার ঘটনায় পরে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। বুধবার, ভাঙড়কে নতুন ডিভিশন করার নির্দেশ দেন তিনি। কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে বলে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে নিতে। তারপরে বৃহস্পতিবারই ভাঙড়ে গেল লালবাজারের বিশেষ দল।


আরও পড়ুন:  '২ ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে জিতে নিয়েছেন', নন্দীগ্রামে হার নিয়ে খোঁচা মমতার