হাওড়া: ছটপুজো (Chhath Puja) উপলক্ষ্যে হাওড়া (Howrah) থেকে পটনা (Patna) এবং গয়া (Gaya) পর্যন্ত দু’টি স্পেশাল ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। ছট উৎসবে শামিল হতে হাজার হাজার মানুষ মুখিয়ে থাকেন। ফলে এই সময় ট্রেনগুলিতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। যাত্রীদের এই বাড়তি চাপের কথা মাথায় রেখেই স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল।


উৎসবের মরসুমে একাধিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়েছে ভারতীয় রেল। বিভিন্ন রুটে সেই সব ট্রেন চালানো হয়েছে। দুর্গা পূজা, নবরাত্রি, দীপাবলির পর এবার ছট পুজো। ২১ তারিখ ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে ছাড়বে স্পেশাল ট্রেন। ২৩ নভেম্বর সকাল ৭টায় ট্রেনটি পৌঁছবে ভগৎ কি কোঠি-তে। ‘ভগৎ কি কোঠি’ স্টেশনটি রয়েছে রাজস্থানের যোধপুরের কাছে। 


কোন কোন স্টেশনে থামবে এই ট্রেন? 


যে সব স্টেশনে ট্রেনগুলি দাঁড়াবে, সেগুলি হল বর্ধমান, আসানসোল, ধানবাদ, কোডারমা, গয়া, সাসারাম, দীনদয়াল উপাধ্যায়, মীর্জাপুর, প্রয়াগরাজ, কানপুর সেন্ট্রাল, তুন্ডলা, আগ্রা ফোর্ট, বান্দিকুই, দাউসা, জয়পুর, কুচামান সিটি, মাকারনা জংশন, দেগানা জমশন, যোধপুর স্টেশন। এই ট্রেনে জেনারেল, স্লিপার ক্লাস থেকে এসি- সবই থাকবে। 


অন্যদিকে, হাওড়া-পটনা স্পেশাল ট্রেনটি (ভায়া ডানকুনি) ২২, ২৩, ২৬, ২৯ এবং ৩০ নভেম্বর যাত্রা করবে। এইসব দিনে ভোর সাড়ে ৫টায় হাওড়া স্টেশন থেকে স্পেশাল ট্রেনটি ছেড়ে বেলা ১টা ৫০ মিনিটে পটনা স্টেশনে পৌঁছবে। আবার সেদিনই দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে পটনা স্টেশন থেকে ছেড়ে ট্রেনটি রাত ১১টায় ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনে ঢুকবে। আপ এবং ডাউন রুটে ট্রেনটি বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, চিত্তরঞ্জন, মধুপুর, জসিডি স্টেশনে থামবে।                                                


আরও পড়ুন, অভিশাপে পাথর হয়েছিলেন স্বয়ং বিষ্ণু! সেই কারণেই কি নারায়ণ রূপে শালগ্রাম শিলার পুজো করা হয়?


অন্যদিকে, হাওড়া-গয়া স্পেশাল ট্রেনটি (ভায়া ডানকুনি) চলবে ২০, ২৪ এবং ২৭ নভেম্বর। এই দিনগুলিতে হাওড়া স্টেশন থেকে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে বেলা আড়াইটের সময় গয়ায় পৌঁছবে। একই দিনে ফিরতি রুটে গয়া থেকে ছাড়বে বেলা ৩টে ২০ মিনিটে। ওই ট্রেন হাওড়ায় আসবে রাত ১১টায়। যাত্রাপথে আপ ও ডাউনে ট্রেনটি বর্ধমান, দুর্গাপুর এবং আসানসোল স্টেশনে থামবে। এই স্পেশাল ট্রেনগুলিতে কেবলমাত্র এসি চেয়ার কার থাকবে।