কলকাতা : শ্রীসারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের নতুন অধ্যক্ষা হলেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা। গত এপ্রিলে প্রয়াত হন সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের পঞ্চম অধ্যক্ষা, মঠের প্রবীণতম সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজী। তাঁর ছেড়ে যাওয়া দায়িত্বই এবার তুলে নিলেন সন্ন্য়াসিনী প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা । 


 রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের নতুন অধ্যক্ষার জন্ম ১৯৪০ সালে। তাঁর পূর্বাশ্রমের নাম ছিল রূপালি। প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণার উদ্যোগে তিনি ১৯৬৪-তে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের মাতৃভবনে যোগ দেন। এরপর ১৯৬৮-তে প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণার মাতাজীর কাছে ব্রহ্মচর্য  গ্রহণ করেন তিনি। এরপর ব্রহ্মচর্য পর্ব সমাপ্ত করে ১৯৭৩ সালে প্রব্রাজিকা মোক্ষপ্রাণার কাছে সন্ন্যাস দীক্ষা নেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা।


এর আগে কয়েক বছর সঙ্ঘের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ কিছু দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।  ১৯৯০ সালে তিনি দায়িত্ব নেন সেই সময় রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের  গঙ্গারামপুর কেন্দ্রের । নতুন কেন্দ্রে তুখোড় হাতে নানা দায়িত্ব সামলান তিনি।  চলতি বছরের এপ্রিলে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ-অধ্যক্ষ হন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা। আর গত ৩০ এপ্রিল আগের অধ্যক্ষা সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি অমৃতলোকে যাত্রা করেন। এরপর উল্টোরথের পুণ্যলগ্নে মঠের অধ্যক্ষার দায়িত্ব নেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা। এই মঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত  ছিলেব অনেক সন্ন্যাসিনীরা। ভক্ত ও অনুগামীরা তাঁকে প্রণাম জানান। 


আগের অধ্যক্ষা সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজী সম্পর্কে দু-এক কথা 


রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সপ্তম অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী শঙ্করানন্দজি মহারাজের মন্ত্রশিষ্যা ছিলেন প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। শ্রীসারদা মঠের প্রথম অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণামাতাজির কাছে ব্রহ্মচর্য ও সন্ন্যাসদীক্ষা লাভ করেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের স্বামীজীর শুভ জন্মতিথিতে সঙ্ঘাধ্যক্ষা পদে আসীন হন তিনি। 


বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২০২৩ এর  ১ অক্টোবর রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন প্রায় ৪০ দিন পর। তারপর ফের তাঁর অবস্থার অবনতি হয় । এরপর বেশ কিছুদিন অক্সিজেন সাপোর্টে থাকার পর তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন :                                                    


স্মরণানন্দের মহাপ্রয়াণের পর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিলেন স্বামী গৌতমানন্দ