ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায়, সমীরণ পাল ও গৌতম মণ্ডল: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই তালিকায় শুধু তৃণমূল নয়, রয়েছে বিজেপি (BJP) নেতাদের পরিজনদের নামও। নাম পাওয়া গিয়েছে বিজেপি নেতার মেয়ের। আর সেই উদঘাটনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কারণ এ যাবৎ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলকে লাগাতার নিশানা করে আসছিল গেরুয়া শিবির। এ বার তৃণমূলও সরব হয়েছে (SSC Case)।
চাকরি গিয়েছে বিজেপি নেতা দুলালচন্দ্র বরের মেয়ে বৈশাখীর
নিয়োগ দুর্নীতিতে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই তালিকায় একদিকে যেমন তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে, নাম রয়েছে বিজেপি নেতার মেয়েরও। চাকরি গিয়েছে বিজেপি নেতা দুলালচন্দ্র বরের মেয়ে বৈশাখীর। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা থেকে তৃণমূল প্রার্থী এবং সিবিআই-এর প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা উপেন বিশ্বাসকে হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের দুলালচন্দ্র। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
এ বার সেই দুলালচন্দ্রের মেয়েরও নাম জড়াল নিয়োগ দুর্নীতিতে। যদি, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর বক্তব্য, "এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। টাকা দিইনি।" যদিও বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা গোপাল চক্রবর্তীর দাবি, চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে দুলালচন্দ্রের যোগ ছিল।
আরও পড়ুন: Santanu Banerjee: বাবার মৃত্যুতে চাকরি, মোবাইল ফোনের দোকানও ছিল, নিয়োগ দুর্নীতিতে এ বার জালে শান্তনু
চাকরি হারানো প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা অমিত সাহার নাম, যিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর, টাউন সভাপতি,
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পর বাড়িতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি।যে হটুগঞ্জ গার্লস হাই সকুলে তিনি চাকরি করতেন, সেখানে কিংবা ডায়মন্ড হারবার পুরসভাতেও এই তৃণমূল কাউন্সিলরের খোঁজ মেলেনি।
চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি মদন বর্মনের। মদন বলেন, "এটা ভুল। আমার ওএমআর নয়। প্রয়োজন হলে উচ্চ আদালতে যাব।" এর আগে এই ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতির গ্রুপ ডি পদে চাকরি গেছিল।
এবার গ্রুপ সি থেকে চাকরি গেল ব্লক সহ সভাপতি। পাশাপাশি গ্রুপ সি-তে চাকরি বাতিলের তালিকায় এমন একজনের খোঁজ মিলেছে, যিনি সেই সৎ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।
যোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী, উত্তর অধরা
এরকম আরও কত প্রার্থী টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন? তাঁদের জন্য় যে যোগ্য় প্রার্থীরা চাকরি পাননি, তাঁদের ভবিষ্য়ৎ কী? সেই উত্তর এখনও অধরাই।