প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Case) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ মিলেছে বলে জানা গেল। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও  (Partha Chatterjee) এমন একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন। ফরেন্সিক বিভাগের সাহায্য নিয়ে সেগুলির খুঁটিনাটি তথ্য় তুলে আনার চেষ্টা চলছে। 


নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে CBI. তাতেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। CBI সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ মিলেছে। সংস্থাগুলির ডিরেক্টর হিসেবে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা নিজেরাও জানেন না যে তাঁরা কোনও সংস্থার পদে রয়েছেন। এ নিয়ে গোয়েন্দাদের বয়ানও দিয়েছেন তাঁরা। অর্থাৎ অজ্ঞাতেই কাগজে-কলমে অনেকের নাম ভুয়ো সংস্থার মালিক ডিরেক্টর হিসেবে রাখা হয়েছে। 


আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিতে CBI-এর ফরেন্সিক বিভাগের সহযোগিতায় অ্যাকাউন্টগুলির অডিট চলছে। অডিট সম্পন্ন হলে আসল সুবিধাভোগীদের নাম সামনে আসবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কার হাত ঘুরে, কোন পথে, কার হাতে টাকা পৌঁছে যায়, সেই রহস্য় উদঘাটন করা যাবে বলে আশা তাঁদের। 


আরও পড়ুন: Howrah Dengue Update : পুজোর মুখে আরও ভয়াবহ ডেঙ্গি? ভয় ধরাচ্ছে হাওড়ার পরিসংখ্যান


CBI সূত্রে দাবি, বিভিন্ন সময় ভুয়ো সংস্থাগুলি তৈরি করা হয়। সেখান থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। এই অ্যাকাউন্টগুলির একটি থেকে অন্যটিতে ঘুরে ঘুরেই হাতবদল হয় কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করতেও এই অ্যাকাউন্টগুলিই ব্যবহৃত হয় বলে রিপোর্টে দাবি করেছে CBI. ফরেন্সিক অডিট হাতে আসার অপেক্ষা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টেও তার উল্লেখ রয়েছে। 


এ দিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও তৎপর হয়েছে CBI. OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির বিভিন্ন ঠিকানায় চলছে তল্লাশি। হাওড়ার দাশনগর ও জগাছায় তল্লাশি চালাচ্ছে CBI। সংস্থার দুই অংশীদার পার্থ সেন এবং কৌশিক মাজির বাড়িতে এদিন অভিযান চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর আগে কৌশিক মাজিকে জিজ্ঞাসাবাদও করে CBI.  


সূত্রের খবর, তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কার মাধ্যমে তাঁদের সংস্থাকে OMR শিট মূল্যায়নের বরাত দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? চুক্তিতে কী কী ছিল? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কতবার বৈঠক হয়েছিল? তিনি কী নির্দেশ দিতেন? বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য, নির্দিষ্ট কোনও চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা পাঠানো হয়েছিল কি না। OMR শিট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কেউ কোনও প্রভাব খাটাতেন? ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে বিশেষ কোনও বার্তা দেওয়া হত কিনা।