সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশের পরই রঞ্জন-রহস্যভেদে তৎপর সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দন মণ্ডলের নামে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় চন্দনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। এর আগে প্রাথমিকে চাকরি বিক্রি হয় বলে অভিযোগ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। 


প্রাথমিকে চাকরি বিক্রি হয় বলে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন CBI আধিকারিক উপেন বিশ্বাস যে অভিযোগে করেছেন, সেই অভিযোগে উল্লিখিত রঞ্জন কে? রহস্য ভেদ করতে এবার CBI’কেই দায়িত্ব দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল আদালত নির্দেশ দিয়ে বলে, বাগদার রঞ্জন বলে ব্যক্তিকে অবিলম্বে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। 


শুধু SSC’ই নয় প্রাথমিকেও চাকরি বিক্রির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! যা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন CBI আধিকারিক উপেন বিশ্বাস। তাঁর উল্লেখ করা রঞ্জন-রহস্য ভেদ করতে এবার CBI’কেই দায়িত্ব দিল কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ,বাগদার রঞ্জন বলে ব্যক্তিকে অবিলম্বে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। এই মামলায় সিবিআইকে সবরকম সাহায্য করতে হবে উপেন বিশ্বাসকে। অবিলম্বে FIR দায়ের করে তদন্তে নামার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।


কে এই রঞ্জন? কতটা প্রভাবশালী? কীভাবে প্রাইমারি নিয়োগে অনিয়মে যুক্ত ওই ব্যক্তি? উপেন বিশ্বাসের ফেসবুক পোস্টের পর থেকেই এই প্রশ্ন উঠছিল। এ দিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'রঞ্জন বলে যাঁর কথা বলা হচ্ছে, তাঁর আসল নাম চন্দন মণ্ডল টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উপেন বিশ্বাসের অভিযোগের কথা বলে, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, চন্দন মণ্ডল যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে প্রয়োজন মনে করলে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই।'


উপেন বিশ্বাস এবং ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলকে এই মামলায় পার্টি করতে হবে। ১৫ জুনের মধ্যে এই মামলার রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। কিন্তু কে এই বাগদার চন্দন মণ্ডল? বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে চন্দন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির বাড়ির খোঁজ পাই আমরা। যদিও, চন্দন বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও কেউ কথা বলতে চাননি। শেষ অবধি রঞ্জন-রহস্যভেদ হয় কি না, সেদিকেই সকলের নজর।