সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: দশদিনে পা দিল কলকাতার (Kolkata News) শহিদ মিনারে এসএসসি-র শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের রিলে অনশন কর্মসূচি (SSC Protest)। আজ কালীঘাটে (Kalighat) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়িতে বাড়িতে স্মারকলিপি জমা দিতে যান আন্দোলনকারীদের চার প্রতিনিধি। অভিযোগ, সেখানে দুর্ব্যবহার করেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এর পর কালীঘাট থানার পুলিশ ওই চারজনকে আটক করে। তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। 


চাকরিপ্রার্থীদের চার জনকে আটক করেছে পুলিশ


এর পর তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই চারজনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এরপর শহিদ মিনারে চত্বরে মিছিল করেন এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীরা। রিলে অনশন মঞ্চে ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়।



বিগত ১০ দিন ধরে শহিদ মিনারের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন এসএসসি-র শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি চলছে একটানা রিলে অনশন। রবিবার সকালে তাঁদের মধ্যে থেকে চার জনের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেতে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: BJP: কেন এত ইস্তফা? আসল রহস্যটা কী? বিজেপির কোন্দল নিয়ে ফেসবুকে সরব অনুপম হাজরা। Bangla News


শুধু তাই নয়, সেখানে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন বলে অভিযোগ। এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারী এক যুবক বলেন, ‘‘আমাদের বার্তা যাতে মাননীয়ার কাছে না পৌঁছয়, সেই চেষ্টাই চলছে। আমাদের আটকানো হচ্ছে।’


কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে চরমে ওঠে অশান্তি


এ দিন ওই চারজনের ওই প্রতিনিধি দলকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় সটান। তাতেই পরিস্থিতি তেতে ওঠে। চার জনের নিঃশর্ত দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে মিছিল করেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। সেই সময়ই রিলে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিন জন। ধরা ধরি করে কোনও রকমে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয় তাঁদের। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, যত দিন পর্যন্ত না তাঁদের দাবি-দাওয়া পূরণ হচ্ছে, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।


চাকরির দাবিতে, এর আগে জানুয়ারি মাসেও কলকাতার প্রেস ক্লাবের সামনে ধর্নায় বসেন পড়ুয়ারা। গত ছ’বছর ধরে চাকরির চেষ্টা করে চলেছেন, কিন্তু নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে বলে সে বারও অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা।