বাচ্চু দাশ, সনৎ ঝা, জলপাইগুড়ি : মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পাওয়ার কথা ছিল অনামিকা রায়ের। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পর কয়েক মাস কেটে গেলেও নিয়োগপত্রই হাতে পাননি তিনি। এরপরই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। আর তারপরই পর্ষদের ওয়েবসাইটে বের হল নোটিস। অনামিকার দাবি, সোমবার শুনানির পরই পর্ষদের ওয়েবসাইটে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দিতে নোটিস দেয় এসএসসি। (SSC)
নম্বর কম পেয়েও দিব্যি চাকরি করছিলেন কোচবিহারের স্কুলে। শেষমেশ, হাইকোর্টের নির্দেশে সেই চাকরি খোয়াতে হয়েছে মন্ত্রী কন্যা পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে। কিন্তু তারপরে যাঁর চাকরি পাওয়ার কথা তিনি যে কাজ করছিলেন তা ছেড়ে চার মাস বাড়িতে বসে। অথচ হাতে পাননি জয়েনিংয়ের চিঠি।
অনামিকার কথায়, ১৬ মে তাঁকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কাজে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ৩ সপ্তাহের মধ্যেও তো হয়ইনি। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে ৪ টি মাস। এর মধ্যে জুলাই মাসে তিনি স্কুলের রেকমেন্ডেশন পান। অর্থাৎ কোন স্কুলে তাঁকে নিয়োগ করা হবে তাঁকে জানানো হয়। এরপর পর্ষদ থেকে ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয়। এরপর ৩ অগাস্ট মধ্যশিক্ষা পর্ষদে তাঁর ভেরিফিকেশন হয়। ২৯ জুলাই কলকাতায় মেডিক্যাল কলেজে হয় তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট। একই সময়ে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যও 'কল' আসে তাঁর কাছে। সেই মোতাবেক কাগজপত্রও জমা করেন অনামিকা। কিন্তু সোমবার পর্ষদ আদালতে দাবি করে, পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট অসম্পূর্ণ থাকায় অনামিকা রায়কে নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি।
পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগপত্র না পাওয়া নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে দেন হুঁশিয়ারিও। বিস্তারিত জানতে চেয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কাছ থেকে রিপোর্ট চান বিচারপতি । তিনি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিলিগুড়ি কমিশনারেটকে জমা দিতে হবে।
তারপরই পর্ষদের ওয়েবসাইটে, সন্ধেয় বের করা হয় একটি বিজ্ঞপ্তি। সেখানে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর, প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে তাঁকে ও আরও কয়েকজনকে নিয়োগপত্র নিতে দেখা করতে বলা হয় ।
এবার কি আদালতের নির্দেশের পর হাতে নিয়োগপত্র পাবেন অনামিকা ? উত্তর মিলবে ২০ সেপ্টেম্বরই।
আরও পড়ুন :
'যদি না পারি, আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়' হলদিয়ায় গিয়ে কী নিয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর?