কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recrutiment) অভিযোগে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার মধ্যেই দীর্ঘ ছ’বছর পর রাজ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে নিয়োগ শুরুর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।  তার পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রকাশ করা হয় বিজ্ঞপ্তি। দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সেখানে তিনি জানান,  মুখ্যমন্ত্রীর ‘মানবিক’ নির্দেশে পদগুলির সৃষ্টি করা হয়েছে।


নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক ব্রাত্যর


এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য জানান, ২০১৬ সালে যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তাতে প্যানেলের ফলে মেধাতালিকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ৫ হাজার ২৬১ এসএসসি পদ বাড়ানো হয়েছে। শারীরশক্ষা এবং কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের জন্যও তৈরি করা হয়েছে অতিরিক্ত পদ। কর্মশিক্ষার জন্য ৭৫০টি এবং শারীরশিক্ষার জন্য ৮৬০টি অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়েছে। ব্রাত্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সবসময় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।”



কর্ম এবং শারীরশিক্ষায় চাকরির দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ করে চলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রেড রোডে ইদের নমাজপাঠ অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। তার পরই বুধবার এসএসসি-তে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হল। মেধা এবং যোগ্যতার নিরিখে নিয়োগপ্রক্রিয়া সারা হবে বলে জানান ব্রাত্য। রাস্তায় বসে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন: Amit-Sourav Meet: নৈশভোজে সৌরভের বাড়ি যেতে পারেন শাহ।Bangla News


এ দিন তিনি ব্রাত্য জানান, আপাতত ১৬০০ পদ তৈরি করা হয়েছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি বুঝে আরও চিন্তাভাবনা হবে। আন্দোলন হোক বা না হোক, মানুষের যদি ন্যায্য দাবি থাকে, তা পূরণে মুখ্যমন্ত্রী সবসময়ই তৎপর বলে মন্তব্য করেন ব্রাত্য। সব শূন্যপদ বিবেচনা করে আগামী দিনে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়বে বলেও জানান তিনি। 


স্বচ্ছ নিয়োগপ্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি ব্রাত্যর


নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের দায় এর আগে ঝেড়ে ফেলতে দেখা গিয়েছিল ব্রাত্যকে। এফের তার পুনরাবৃত্তি হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি জানিয়ে দেন, যেখানে তিনি ছিলেন না, সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না।  তবে এ বার যে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তাতে ভুলচুক হলে সংশোধন করা হবে, মেধা, স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, সেখানে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক থাকবে না বলে জানান তিনি।