কলকাতা : হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে প্রাক্তন মন্ত্রীকন্যার বেতনের টাকার দ্বিতীয় কিস্তি হাতে পেলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। শুক্রবার ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৯৯ টাকার চেক পেলেন তিনি। এই নিয়ে ২টি কিস্তি মিলে মোট ১৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৯৮ টাকা পেলেন মামলাকারী ববিতা সরকার। 


এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষিকার চাকরি গেছে শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। ২ কিস্তিতে ফেরাতে হল ৪ বছরে চাকরি-জীবনে পাওয়া বেতনের অর্থ। গত জুলাই মাসে প্রথম কিস্তির ৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৯৯ টাকা তুলে দেওয়া হয় ববিতা সরকারের হাতে।


আরও পড়ুন ; চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর প্রথম কিস্তির টাকা জমা পরেশ কন্যা অঙ্কিতার


সেই সময় মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষিকা ও মামলাকারী ববিতা সরকার বলেছিলেন, আইনজীবী যা বলবেন করব। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছি। বঞ্চিতরা যেদিন চাকরি পাবে সেদিন আমার আসল জয় হবে।


কবে শুরু লড়াই ?


২০১৮ সালে, পরেশ অধিকারী ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ার পরই তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার সরকারি স্কুলে চাকরি হয়। তারপরেই একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে, দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন ববিতা সরকার। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রথম মেধাতালিকায় পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নামই ছিল না। কিন্তু, পরে নতুন যে মেধাতালিকা হয়, সেখানেই অঙ্কিতা অধিকারীর নাম এক নম্বরে চলে আসে। এর ফলে, ববিতা সরকারের থেকে কম নম্বর পেয়েও, তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি পেয়ে যান। দীর্ঘদিন এই মামলা চলার পরে, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, ববিতা সরকারকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর, মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগ দেন ববিতা সরকার।


কাজে যোগ দিয়ে ববিতা বলেন, 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ছাত্রীদের শিক্ষা দেব।' ববিতার এই লড়াইয়ের সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্বামী সঞ্জয় কর্মকার। তিনি বলেন, 'আমরা খুশি, দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছি। অবশেষে জয় পেলাম। ওর স্বপ্ন আজ পূরণ হল। যে টাকা পেয়েছে, তা সমাজ কল্যাণে খরচ করা হবে।'