অতনু হালদার, কলকাতা : SSC র ২০১৬-র পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিল হাইকোর্ট। আদালত জানাল, ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। এছাড়াও আদালত জানাল, 'মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনও চাকরি বৈধ বলে গণ্য হওয়া উচিত নয়'।
আদালত জানাল, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সমস্ত নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও যাদের চাকরি হয়েছে, তাদের ৪ সপ্তাহের মধ্য়ে বেতন ফেরত দিতে হবে । ৬ সপ্তাহের মধ্যে জেলা শাসকদের টাকা উদ্ধার করতে হবে। এছা়ড়াও উল্লেখযোগ্য নির্দেশ, এই সংক্রান্ত সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই। এই দুর্নীতির জট ছাড়াতে তদন্তের প্রয়োজনে যাকে যাকে প্রয়োজন হবে, তাকেই হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। অতিরিক্ত শূন্য পদ যারা তৈরি করেছিল, তাদের হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই।
সমস্ত ওএমআর শিটের কপি আপলোড করার নির্দেশ দিল আদালত। সেই সঙ্গে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে এসএসসিকে । ভোটের মধ্যে এই রায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বড় ধাক্কা দিল রাজ্যকে।
SSC-র মাধ্যমে, গ্রুপ C, গ্রুপ D-র কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের কী পরিণতি হবে? গত ১৩ই মার্চ, শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণে দু’টি বিকল্পের কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। প্রথমত, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ। অথবা বাতিল করা হতে পারে গোটা নিয়োগের অংশবিশেষ। গত ১৩ মার্চ বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, একটা পচা আপেল গোটা ঝুড়ির আপেলকে নষ্ট করে দেয়। পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে কী করা উচিত? পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের কেন নিয়োগ করা হবে? অযোগ্য ব্যক্তিরা কী শেখাবেন? যদি সবটা অবৈধ হয়, তাহলে যা পরিণতি, তাই হবে। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়,কমিশনকে বিশ্বাস করতে না পারলে তো গোটা নিয়োগই বাতিল করা উচিত, বলেছিল আদালত।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন :
কোন কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন হিটস্ট্রোক ? ব্রেন স্ট্রোকের সঙ্গে এর ফারাক কোথায় ?