কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) হিসেবে সংখ্যাটি ছিল ১৮৩। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI) ৯৫২ জনের হিসেব দিল। নবম-দশমে ভুয়ো সুপারিশপত্র পাওয়া অবৈধ শিক্ষকের সংখ্যায় গরমিল চলে এল প্রকাশ্যে। এমন পরিস্থিতিতে ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েও, অবস্থান বদল করল আদালত (Calcutta High court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Judge Abhijit Ganguly) জানিয়ে দিলেন, এখনই অবৈধ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে না কমিশনকে।
নবম-দশমে ভুয়ো সুপারিশপত্র পাওয়া অবৈধ শিক্ষকের সংখ্যায় গরমিল চলে এল প্রকাশ্যে
নবম দশম-এ অবৈধ শিক্ষক কতজন, তা জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে কমিশন জানায়, ১৮৩ জনকে ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছে। এই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি করছেন, জানতে চান বিচারপতি। বেআইনি সুপারিশ খুঁজে পেলেও, তা বাতিলের জন্য কী পদক্ষেপ করেছে কমিশন, কী কী বেআইনি কাজ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে কমিশন জানায়, মেধাতালিকায় নিচের দিকে থাকা প্রার্থীদের, তালিকায় উপরের দিকে তুলে এনে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে বিচারপতি জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮৩ জনের নামের তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
কিন্তু এর ঠিক পরই আদালতে সিবিআই জানায়, নবম-দশমে ভুয়ো সুপারিশপত্র পেয়েছেন ৯৫২ জন। গোয়েন্দারা দাবি করেন, এই ৯৫২ জনের মধ্যে বেশির ভাগই চাকরি করছেন এই মুহূর্তে। ওয়েটিং লিস্টে খুব কম জনই আছেন। তাতেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, নবম-দশমে অবৈধ ১৮৩ জন শিক্ষকের তালিকা আপাতত প্রকাশ করতে হবে না SSC-কে।
এর আগে, অতিরিক্ত শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগের বিষয়টি কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই রায়ই বহাল ছিল। কিন্তু রাজ্য তার পর সুপ্রিম কোর্টে গেলে সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট।
সিবিআই জানায়, নবম-দশমে ভুয়ো সুপারিশপত্র পেয়েছেন ৯৫২ জন
সেই নিয়েও এ দিন প্রতিক্রিয়া জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "নিয়োগ দুর্নীতি থামানোর পরিবর্তে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে স্থগিতাদেশ জোগাড় করতে! এটা বিস্ময়কর!" এই মামলায় বৃহস্পতিবার ফের শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।