সোমনাথ মিত্র, হুগলি: এবার চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ালেন কর্মরত শিক্ষকরা। যোগ্য শিক্ষক, শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের পুনরায় সম্মানের সাথে নিজ নিজ পদে পুণর্বহালের দাবিতে হাতে পোস্টার নিয়ে মৌন প্রতিবাদে সামিল হলেন হুগলির শিয়াখালা বেণীমাধব উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক  ও অশিক্ষক কর্মীরা। 

আরও পড়ুন, সুতি ও সামশেরগঞ্জে অশান্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ১১৮ ! জারি ১৬৩ ধারা

গেছে চাকরি,  হারিয়েছেন সম্মান। প্রতিবাদে নেমে জুটেছে  লাথি লাঠি। তাও প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরে আসেন নি আদালতের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা। ইতিমধ্যে চাকরি-হারাদের নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের বিভিন্ন রকম মত প্রকাশের মাধ্যমে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। এবার সেই সমস্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন কর্মরত শিক্ষকরা। ব্যানার, পোস্টার লাগিয়ে শিয়াখালা বেণীমাধব উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে বসলেন ধর্ণায়।

 স্কুলের তিনজন শিক্ষক আজ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে এই দাবিতে ধর্না কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন । পাশাপাশি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা পঠন-পাঠন চালু রেখে প্রতিবাদে নৈতিক ও মানসিকভাবে সমর্থন দিচ্ছেন।এই স্কুলে ৪২জন শিক্ষক ও ৯জন অশিক্ষক কর্মী। তার মধ্যে আদালতের রায়ে ৫জন চাকরি হারা হয়েছেন। এর মধ্যে ৩জন শিক্ষক এবং ২ অশিক্ষক কর্মী রয়েছেন । রায়ের পর তারা কেউ ই স্কুলে উপস্থিত হচ্ছেন না বলে স্কুল সূত্রে জানা গেছে। ফলে যথাযথ  পঠন পাঠন ও স্কুল পরিচালনায় তৈরী হয়েছে সমস্যা। 

বিদ্যালয়ের অঙ্কের শিক্ষক অরূপ কুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। বর্তমানে এর উপর আঘাত নেমে এসেছে। সমস্ত মানুষ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের করজোরে নিবেদন, যে  সমস্ত যোগ্যরা চাকরি হারা হয়েছেন তাদের যেন স সম্মানে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই জন্য আমরা এখানে আন্তরিকভাবে অবস্থানে সামিল হয়েছি। আমরা তিনজন এখানে অনুপস্থিত থেকে প্রতিবাদের সামিল হয়েছে । বাকিরা বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের দায়িত্বে থেকে ও মানসিকভাবে  আমাদের পাশে আছেন। 

স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অমৃত লাল বিশ্বাস জানান,' আমরা কোনও দলের পক্ষে বা বিপক্ষে থেকেও কথা বলছি না। আমরা চাই যারা যোগ্য নিজেদের পরিশ্রম করে চাকরি পেয়েছে তারা তাদের চাকরি ফিরে পাক। এতে শুধু তার নয় হাজার হাজার পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, ছাত্র ছাত্রীর পাশাপাশি স্কুলের ক্ষতি হচ্ছে। সামাজিকভাবে আমরা নুইয়ে পড়েছি। আমাদের যাতে আবার শিরদাঁড়া সোজা হতে পারে তার জন্য আমাদের যোগ্য সহকারীদের পুনরায় কাজে বহাল করার দাবি জানাচ্ছি। '