কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার নজরে 'মধ্যস্থতাকারী' শিক্ষকরা। সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে স্কুল ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক। অযোগ্যদের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন কয়েকজন শিক্ষক, খবর সিবিআই সূত্রে। এই শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকজন স্কুল ও কলেজে কর্মরত, খবর সিবিআই সূত্রে। মধ্যস্থতাকারী শিক্ষকদের ৯ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। এঁদের মধ্যে ৫ জন কলেজের অধ্যাপক, বাকি ৪ জন স্কুল শিক্ষক, খবর সিবিআই সূত্রে।
এবার নজরে 'মধ্যস্থতাকারী' শিক্ষকরা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে যেসব 'অযোগ্য' শিক্ষকদের নাম সামনে এসেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য কয়েকজন শিক্ষকের ভূমিকা সামনে এসেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অযোগ্য প্রার্থী সহ অভিযুক্তদের বয়ান থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের নাম পাওয়া গিয়েছে। সেই অনুযায়ী, তৈরি হয়েছে ৯ জনের একটি তালিকা। এই তালিকায় থাকা ৯ জনের মধ্যে ৫ জন বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক। বাকি ৪ জন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক। প্রত্যেকেই বর্তমানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে কর্মরত। ইতিমধ্যেই একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার সূত্র ধরে এরপর বাকিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
গ্রেফতার মিডলম্যান: গত ২৪ অগস্ট এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে প্রদীপ সিংহকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সূত্র মারফত জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষায় অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এই ‘মিডলম্যান’ প্রদীপ। অভিযোগ, সেই প্রার্থীদের তথ্য তার পর এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা-সহ অন্য কর্তাদের দিতেন। প্রদীপ সিংহ যে সংস্থায় কাজ করতেন, সেখানকার মালিককে গত ২৫ অগাস্ট গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম প্রসন্ন রায়। প্রদীপের মতো প্রসন্নও ‘মিডলম্যান’-এর কাজ করতেন। গাড়ি ভাড়া দেওয়া একটি সংস্থায় কাজ করতেন প্রদীপ। ২৫ অগস্ট সল্টলেকে ওই সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই সংস্থার মালিক প্রসন্নকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা যায় ।
আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: ঠান্ডার দোসর মশার কামড়, তবুও আন্দোলনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI