সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: এসএসসিতে (SSC) আরও বেআইনি চাকরির (Job) সুপারিশ হয়েছে। নবম-দশমে আরও ৪০ জনের বেআইনি চাকরির সুপারিশ হয়েছে বলে মত। এই প্রেক্ষাপটে আজই বেআইনি ভাবে নিয়োগ হওয়া ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। এই ঘটনা নিয়ে কমিশনকে তোপ দেগেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। বেআইনি চাকরির সুপারিশের প্রমাণ দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "এটা কোনও ভূতের কাজ নয়। কমিশনের অফিসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরাই এই দুর্নীতি করেছেন"।    


প্রসঙ্গত, এর আগে ১৮৩ জনের বেআইনি চাকরির সুপারিশের কথা স্বীকার করে কমিশন। যদিও আদালতের কমিশনের আইনজীবীর দাবি ‘আসল ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গেছে’। তবে পাল্টা মন্তব্য করেন বিচারপতিও। তিনি বলেন,  ‘ওএমআর শিট নিয়ে এত প্রশ্নের পর কীভাবে নষ্ট করা হল?’। কমিশনের আইনজীবীর মন্তব্য, ‘২০১৮-১৯-এর মধ্যে নষ্ট হয়েছে। ফলে নম্বর-দুর্নীতি জানতে গাজিয়াবাদের হার্ডডিস্ক ও সল্টলেকের হার্ডডিস্ক মিলিয়ে দেখতে হবে’।                      


আরও পড়ুন, ফুল চাদরে অজমেঢ় শরিফে প্রার্থনা মমতা-ফিরহাদের,  পূর্ণ বহুদিনের সাধ


উল্লেখ্য, গাজিয়াবাদের হার্ডডিস্কে দেখা যায় ১০ জন শূন্য পেয়েছেন। যদিও তাঁদের কমিশনের সার্ভারে প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। যাঁরা ১ বা ২ পেয়েছেন, কমিশনের সার্ভারে তাঁদের নম্বর ৫১-৫২। ২০ জন অপেক্ষমান প্রার্থীর নম্বর একইভাবে বেড়ে ৯ থেকে ৪৯ হয়েছে।                                                    


এদিকে, গ্রুপ C, গ্রুপ D পদে অযোগ্য ৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ তলব করেছে সিবিআই। এঁরা প্রত্যেকেই মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। সিবিআই সূত্রে খবর, এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কীভাবে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন। কত টাকা কাকে দিয়েছিলেন? কোনও প্রভাবশালীর মদত ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। গতকালই CBI-এর বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান কলকাতা হাইকোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন যে, গ্রুপ C, গ্রুপ D, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে প্রায় ২১ হাজার পদে দুর্নীতির তথ্য সামনে এসেছে। বিকৃত করা হয়েছে ৯ হাজার OMR শিট।