কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। ‘মেধা তালিকায় না থেকেও চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রীর মেয়ে’, এমনই অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে সরগরম হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। পরেশ অধিকারী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) নিশানায় সকলেই। 


এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, "যখন দেখি ক্ষমতাবানেরা তাঁদের পরিবারের ছেলে মেয়েদের চাকরি দিচ্ছে, দুর্নীতির পথে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তখন তাঁদের ধিক্কার জানাই। ওহে পরেশ অধিকারী, তুমি বদের ধাড়ি। বাংলার ছেলেমেয়েরা পায়না চাকরি। অথচ তোমার ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি পায় কারণ তুমি মা মাটি মানুষের সরকারের অংশ। তাই এ বাংলায় এই দুর্নীতি চলছে। শিক্ষা দফতর গোটাটাই দুর্নীতির আখড়া। পরেশ অধিকারী একা নন, এরপরের দাদারা, রাঘব বোয়াল, মুখ্যমন্ত্রী সবাই রয়েছে এর সঙ্গে।"  


বিতর্কের সূত্রপাত কী করে?


রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিসের মেধা তালিকাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, স্কুল সার্ভিসে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পিডিএফ ফরম্যাটে মেধা তালিকা প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। পরবর্তীতে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের ওয়েট লিস্টে দেখা যায় ববিতার নাম চলে গিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে রয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। উল্লেখযোগ্য হল, এক দিন আগে পর্যন্ত তালিকায় নামই ছিল না অঙ্কিতার।                                   


আরও পড়ুন, 'শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীর মেয়ে বলেই চাকরি, দুর্নীতিতে প্রশয় দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী', চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে সরব সুজন


২০১৮-তে স্কুলে চাকরি পান পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। ‘এসএসসির পুরনো তালিকায় ১ নম্বরে নাম ছিল ববিতা বর্মনের। নতুন মেধা তালিকায় ২ নম্বরে নেমে আসেন ববিতা বর্মন। আগে না থাকলেও নতুন মেধা তালিকায় ১ নম্বরে মন্ত্রী-কন্যার নাম থাকার অভিযোগ। মেধা তালিকায় নাম নেই, কী করে চাকরি পেলেন মন্ত্রী-কন্যা? শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা হয়। 


এদিকে, মেধা তালিকায় না থেকেও কোচবিহারের স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে আজ রাতের মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।