৪ মাসের মধ্যে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে প্রত্যাবর্তন হল সেই অভীক দে-র। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের উপরেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে এদিন দাবি করে জয়েন্ট প্ল্য়াটফর্ম অফ ডক্টরস। যদিও, এনিয়ে রাজ্য মেডিক্য়াল কাউন্সিলের সভাপতি ও সহ সভাপতির মত ভিন্ন। প্রতিবাদে রাতভর রাজ্য মেডিক্য়াল কাউন্সিলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।রাজ্যের একাধিক মেডিক্য়াল কলেজে থ্রেট কালচার চালানো পরীক্ষায় নম্বর কারচুপির চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও  আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন, সেখানে অভীকের উপস্থিতি ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে। 


অভীকের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।  এতসবের ৪ মাসের মধ্যে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে প্রত্যাবর্তন হল সেই অভীক দে-র। কীভাবে তিনি ফিরলেন কাউন্সিলে ? প্রশ্ন উঠতেই সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের দাবি, 'নির্বাচনে জিতে এসেছেন অভীক, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, এবং চার্জশিটে তার নামও নেই। সুদীপ্ত রায় বলেন, অভীক দে একজন নির্বাচিত সদস্য। নির্বাচনে জিতে তিনি এসেছেন। কিন্তু, কয়েকটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বারণ করা হয়েছিল যে মিটিং-এ না আসার জন্যে। কিন্তু, সে জানায় যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, এবং চার্জশিটে তার নামও নেই। এরজন্য আজকের মিটিং-এ আসতে বলা হয়েছিল। অভীক দে মিটিং-এ যোগ দিয়েছিল।' 


সেপ্টেম্বর মাসে অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের উপরেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে এদিন দাবি করে জয়েন্ট প্ল্য়াটফর্ম অফ ডক্টরস। এদিকে আর জি কর কাণ্ডে আন্দোলনকারীদের অন্যতম প্রধান মুখ দেবাশিস হালদার বললেন,  'অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, এদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ভবনে তদন্ত হয়েছে , তার রিপোর্ট আমরা দেখেছি। এসএসএসকেএম - এর পিজিটি অভীক দে, সেখানেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে , সেই রিপোর্ট আমরা দেখেছি। আজকে দেখছি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল...আমরা যখন বারবার মেডিক্যাল কাউন্সিলের কথা বলেছিলাম আন্দোলনের সময়, তখন সবাই বলেছিল , অভয়ার ন্যায় বিচারের সঙ্গে এটার কী সম্পর্ক, আজকে বোঝা যাচ্ছে , আমরা যে কথাগুলি বলছিলাম , সেটা কতটা ভ্যালিড' 


চারমাসের মধ্যে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে চিকিৎসক অভীক দে-কে ফিরিয়ে আনার প্রতিবাদে সল্টলেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে রাতভর অবস্থান করেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের সদস্যরা। ত্রিপল টাঙানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ্‍‍বিতণ্ডা হয় বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের। পুলিশ ত্রিপল খুলে নিতে বলায় আপত্তি জানান চিকিৎসকরা। ধর্না-অবস্থানে যোগ দেন চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, তমোনাশ চৌধুরী, দেবাশিস হালদাররা।   


Pakistan Economy : বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে 'লাফাচ্ছে' পাকিস্তানের বাজার ? ১২০০ পয়েন্ট উঠল মার্কেট, আসল কারণ কী ?