কলকাতা: জাতীয় দলের তকমা (National Party Status) খোয়ানোয় তৃণমূলকে (TMC) কটাক্ষ রাজ্য় বিজেপি সভাপতি (State BJP President) সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। ট্যুইটারে লিখলেন, 'তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে এখন আঞ্চলিক দল। মানুষ জানে তৃণমূল সরকার সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। তোষণ ও সন্ত্রাসের সরকার তৃণমূলের। তাই তৃণমূলের বিস্তারে দিদির আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হল না। এখন সরকারের পতনও সময়ের অপেক্ষা। মানুষ বেশিদিন আর এই সরকারকে বরদাস্ত করবে না।'
ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীরও...
জাতীয় দলের তকমা হারানোয় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। এআইটিসি-কে ট্যাগ করে তিনি ট্যুইট করেন, 'ত্রিপুরার ভোটের পরই তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি নিয়ে তখনই সোচ্চার হয়েছিলাম। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ তৃণমূলের জাতীয় দলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার জন্য। নামের সামনে থেকে কবে সর্বভারতীয় শব্দবন্ধ সরাবে তৃণমূল?'
প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের...
তীব্র আক্রমণের মুখে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের প্রতিক্রিয়া একটাই, আইনগত ভাবে নির্বাচন কমিশনকে জবাব দেবে দল।
যা ঘটল...
এদিন জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্দিষ্ট করে বললে অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুরে রাজ্য দলের মর্যাদা হারায় তৃণমূল। সেই জন্য জাতীয় দলের মর্যাদা লাভের মাপকাঠিতে ঠাঁই হল না বাংলার শাসক দলের। ২০১৬ সালে বাংলা, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মণিপুরে রাজ্যদলের স্বীকৃতি পেয়েছিল তৃণমূল। তারপরই তৃণমূলকে জাতীয় দলের মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন। তার ঠিক ৭ বছরের মাথায় এই তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস। ৪টি রাজ্যে এতদিন রাজ্যদলের মর্যাদা ছিল তৃণমূলের। এখন বাংলা, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে রাজ্যদলের তকমা রয়েছে জোড়াফুলের। তবে শুধু তারা নয়, জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল সিপিআই, এনসিপি-ও। অন্য দিকে দিল্লির পরে পঞ্জাবে সরকার গড়ে তালিকায় এল আপ। ৪টি রাজ্যে, এখন রাজ্যদলের তকমা পেয়ে জাতীয় দলের তকমা পেল কেজরিওয়ালের দল। প্রসঙ্গত, এদিনই রামনবমীতে অশান্তি সংক্রান্ত শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 'কে বা কারা অশান্তিতে উস্কানি দিয়েছে বা লাভবান হয়েছে তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত প্রয়োজন', মামলায় পর্যবেক্ষণ দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। এতেই শেষ নয়। তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, পুলিশি রিপোর্টে স্পষ্ট যে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে। বছরের পর বছর একই ঘটনা ঘটছে, কীভাবে আটকানো সম্ভব?' তাঁর মতে, 'বাইরে থেকে আক্রমণ-অধিগ্রহণের চেষ্টা হলে ইন্টারনেট বন্ধ হয়। মিছিলে অশান্তি হলে ইন্টারনেট বন্ধ হয় না। বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, অশান্তির ঘটনা মানুষকে উদ্বিগ্ন করে।' হাওড়ার সিপির রিপোর্ট নিয়েও পর্যবেক্ষণ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির।
আরও পড়ুন:শক্তিগড়ে গুলিতে ঝাঁঝরা কয়লা মাফিয়া, প্রকাশ্যে হামলার মুহূর্তের ফুটেজ