কলকাতা: ১৭ বছরে সময় বদলেছে, বদলে গিয়েছে সম্পর্কও! কিন্তু বদলায়নি মামলার অবস্থা! এখনও আদালতে বিচারাধীন রাখী সবন্ত (Rakhi Sawant) ও মিকা সিংহের (Mika Singh)-এর চুম্বনকাণ্ডের মামলা। এবার এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফের আদালতের দ্বারস্থ মিকা। এই মামলা খারিজ করার দাবি জানিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী। 


ঠিক কী ঘটেছিল? ২০০৬ সালে মিকা সিংহের জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলে রাখি। কেক কেটে যথারীতি উদযাপন চলছিল। হঠাৎ রাখীর কেক মাখিয়ে দেওয়ার উত্তরে এক কাণ্ড করেন মিকা। হঠাৎ ঠোঁটে চুম্বন করে বসেন রাখীর। এই ঘটনায় হতচকিত রাখী কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে পারেননি। পরবর্তীকালে এই ঘটনার প্রতিবাদে রাখী আইনি ব্যবস্থা নিলেও তা বেশি দূর এগোয়নি। মিকার দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট ফাইল হলেও তা নিয়ে আর কোনও মামলার অগ্রগতি হয়নি। এমনকি যে এফআইআর ফাইল হয়েছিল, তাও হারিয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে আইনজীবীর তরফে। 


ইতিমধ্যে অবশ্য বরফ গলেছে মিকা ও রাখীর সম্পর্কের। একসঙ্গে 'বিগ বস' খেলাতেও অংশ নিয়েছিলেন তারা। যদিও ২০১৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে রাখী স্বীকার করেছিলেন, ওই ঘটনার পরে যে কোনও অনস্ক্রিন চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করতে তিনি সাবলীল হতে পারেন না কারণ ওই ঘটনার কথা তাঁর মনে পড়ে যায় বার বার। ২০২২ সালে অবশ্য বিগ বসের ঘরে যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরা পড়ে রাখী ও মিকার। এমনকি তাঁরা অনস্ক্রিন চুম্বনও করেছিলেন। 


রাখীর আইনজীবীর তরফেও জানানো হয়েছে, অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পীর সম্পর্কে ১৭ বছর পরে আর কোনও তিক্ততা নেই। আর তাই যে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেই মিটিয়ে নিতে চান তাঁরা। এর জন্য আদালতের আর কোনও প্রয়োজন নেই। সেই একই মর্মে আদালতে আর্জি জানিয়েছেন মিকাও। 


আপাতত স্বামী আদিল দুর্রানির সঙ্গে আইনি লড়াইতে ব্যস্ত রাখী। দীর্ঘ সম্পর্কের পরে গোপনে বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার মাস না গড়াতেই শুরু হয় সমস্যা। আদিলের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছিলেন রাখী। অভিনেত্রীকে ছেড়ে এখন নাকি সেই মেয়েটির সঙ্গেই থাকছেন আদিল। সেই মেয়েটির নাম তনু। তাঁর সঙ্গে ফোনেও কথা বলেছেন রাখী। আদিলের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় সফর করেছেন এই তনু। রাখীর দাবি, আদিলের কারণেই তাঁর মা মারা যান। এর আগে 'বিগ বস মারাঠি'-তে অংশ নিতে গিয়েছিলেন রাখী। যাওয়ার আগে তিনি মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকা দিয়ে যান আদিলের হাতে। অভিনেত্রীর দাবি, সেই টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেছেন আদিল। সেইসঙ্গে রাখী জানান, আদিল মারধর করতেন, অত্যাচার করতেন তাঁর ওপর। এমনকি আদিলের জন্য গর্ভপাত করাতেও বাধ্য হয়েছিলেন রাখী। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে আদিলকে।