কলকাতা: 'এই ঘটনা চোখ খুলে দিল যে কর্মরত অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীকে (Delhi CM Arvind Kejriwal Arrested) গ্রেফতার করা যায়', 'আপ' প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর মন্তব্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar On Delhi CM Arrest)। সঙ্গে আরও বলেন, '...সেই সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের নাম দুর্নীতিতে বার বার জড়িয়েছে তাঁদের বলব, দুর্নীতি থেকে সরে থাকুন। তাঁরাও পদে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গেও এই ছবি দেখতে পারি।' কার উদ্দেশে এই কটাক্ষ? দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। 


কী বললেন সুকান্ত?
বিজেপির বিরুদ্ধে বার বার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা। বিশেষত, যে সব রাজ্যে বিজেপি-বিরোধীরা ক্ষমতায়, সেখানেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতিসক্রিয়তার অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতির পাল্টা বক্তব্য, 'হেমন্ত সরেন হোন বা মণীশ সিসোদিয়া, দুজনেই তো জামিন পাওয়ার বার বার চেষ্টা করছেন। পাচ্ছেন না কেন? কারণ ইডি বার বার আদালতকে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ইডি এনেছে, তার সত্যতার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সত্যতার প্রমাণ রয়েছে বলেই তো আদালত জামিন দিচ্ছে না।' তাঁর দাবি, বিজেপি-শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি হয় না। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলও যে এক অভিযোগ করে সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত বলেন, 'আমি বলব, তৃণমূলের ভাগ্য ভাল যে এত দিন পরও মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপো জেলের বাইরে রয়েছেন...ভালও জ্য়োতিষী দেখান মনে হচ্ছে। না হলে এত দিনে জেলে থাকার কথা ছিল।'
কেজিওয়ালের গ্রেফতারির ঘটনায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অবশ্য প্রতিক্রিয়া, 'বিজেপি মনে করছে, তারা ফিরে আসবে না। সেই কারণে মরিয়া হয়ে সমস্ত নখ-দাঁত বের করছে। সমস্ত রকম চক্ষুলজ্জার মাথা খেয়েছে এরা। না হলে ভোটঘোষণার পর এটা হতে পারে না।'  সব মিলিয়ে তুমুল আলোড়ন রাজনীতিতে। 


এদিনের ঘটনাক্রম...
ইডি সূত্রে খবর, ৯ বার সমনেও গরহাজির ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দশম সমন দিতে তাই কেজরিয়ালের 'দুয়ারে' পৌঁছে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে তল্লাশি চলে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। এছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সদস্যদের ফোন বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। এদিন দিল্লি পুলিশের ডিসিপিকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন দিল্লি হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ না পাওয়ার পরেই হাজির হয়েছিল ইডি। হাইকোর্ট বলেছিল, 'এখন আগাম জামিন দেওয়ার পরিস্থিতি নেই।' 


আরও পড়ুন:মন্তব্য বিকৃত করার অভিযোগ রাহুলের, তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপি-র