নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের রাহুল গাঁধীর নামে অভিযোগ। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে নালিশ জানাল বিজেপি। সম্প্রতি একটি সভায় 'শক্তি'র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন রাহুল। Electronic Voting Machine (EVM)-এর বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে হিন্দুধর্মেরও উল্লেখ টানেন। সেই নিয়েই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। (Rahul Gandhi)


গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে একটি জনভায় ভাষণ দেন রাহুল। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "হিন্দুধর্মে শক্তি শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। আমরাও একটা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এখানে প্রশ্ন, আমাদের লড়াই কোন শক্তির বিরুদ্ধে? রাজার আত্মা EVM, ED, CBI, আয়কর দফতরের মধ্যে রয়েছে।" EVM না থাকলে মোদি ভোটে জিততে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন রাহুল। (Election Commission)


রাহুলের ওই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামতে দেরি করেননি বিজেপি নেতৃত্ব। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, "মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে জোট প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে, হিন্দুধর্ম যে শক্তিকে করে, ওরা সেই শক্তির বিনাশ করবে বলছে। হিন্দুধর্মে শক্তির অর্থ মাতৃশক্তি, নারীশক্তি। কংগ্রেস সেই শক্তিকে বিনাশ করবে বলছে। যাঁরা শক্তিকে বিনাশ করবে বলছেন, তাঁদের সঙ্গে এবার লড়াই শক্তির আরাধনা করেন যাঁরা, তাঁদের।"



আরও পড়ুন: Supreme Court: জামিন ঠেকাতেই কি বার বার চার্জশিট? দীর্ঘদিন কেন জেলবন্দি অভিযুক্ত? প্রশ্নের মুখে ED


সেই নিয়ে বুধবার সরাসরি রাহুলের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি।  তাঁর বক্তব্য, "কংগ্রেসের তরফে এমন বেশ কিছু মন্তব্য করা হয়েছে। কড়া পদক্ষেপ করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছি আমরা। কংগ্রেস যদি এই ধরনের মিথ্যা ছড়াতে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করা হয়, সবকিছুই নজরের বাইরে থেকে যাবে।" 


রাহুল আরও লেখেন, ‘ওই একই শক্তির জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ মাফ করে দেন নরেন্দ্র মোদিজি, অথচ কয়েক হাজার টাকার ঋণশোধ করতে না পেরে আত্মঘাতী হয় কৃষককে। উনি কোনও ধর্মীয় শক্তি নন। উনি ধর্মের শক্তি, দুর্নীতি এবং মিথ্যাচারের শক্তি। তাই ওঁর বিরুদ্ধে কথা আওয়াজ তুলি না আমি, কারণ মোদিজি এবং ওঁর সাঙ্গপাঙ্গরা রেগে যান, মেজাজ হারান’।


রাহুল যদিও আগাগোড়াই বলে আসছেন যে, তাঁর মন্তব্য বিকৃত করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল লেখেন, ‘আমার কথা মোদিজির ভাল লাগে না। তাই কোনও না কোনও ভাবে আমার কথা বিকৃত করে অর্থ বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ উনি জানেন, আমি গভীর সত্যই তুলে ধরেছি। আমি যে শক্তির কথা বলেছি, যে শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি, তার মুখোশ মোজিদি। উনি এমন এক শক্তি, যিনি আজ ভারতের কণ্ঠস্বর, ভারতের সংস্থাগুলিকে, CBI, IT, ED-কে, নির্বাচন কমিশনকে, সংবাদমাধ্যমকে, বারতের শিল্পজগৎকে, ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোর টুঁটি চেপে ধরেছেন...’।