নয়াদিল্লি: গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে রক্ষাকবচ দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট (ED At Kejriwal House)। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে  কেজরিওয়ালের বাসভবনে পৌঁছে গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আবগারি দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাতে সেখানে ED পৌঁছেছে বলে খবর। কেজরিওয়ালের বাসভবনে ঢুকেছেন ED-র ১২ জন আধিকারিক। সঙ্গে রয়েছেন দিল্লি পুলিশের ACP-ও। (Arvind Kejriwal)। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেজরিওয়াল। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানিয়েছেন।


দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরে রয়েছেন। তিনি বলেন, "যেভাবে পুলিশ ভিতরে ঢুকে গিয়েছে...কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে তল্লাশি চলছে। আমার মনে হয়, কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারির পরিকল্পনা রয়েছে। "


দলের নেত্রী অতিশী বলেন, "এটা পরিষ্কার যে ED এবং তাদের প্রভু, BJP আদালতকে সম্মান করে না। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ওরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালেক গ্রেফতার করতে এসেছে।"



দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়কও। আবগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করে ED. কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, এর পর কমপক্ষে আট বার সমন পাঠানো হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। কিন্তু একবারও হাজিরা দেননি তিনি। দিল্লি জল বোর্ড মামলায় আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত একটি মামলায় সোমবারও ডেকে পাঠানো হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি।



আরও পড়ুন: Electoral Bonds: কার টাকা কার কাছে, নির্বাচনী বন্ডের ক্রমিক সংখ্যা-সহ তথ্য প্রকাশ কমিশনের


বাতিল হয়ে যাওয়া দিল্লি আবগারি নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিরোধিতায় এদিন কেজরিওয়ালও আদালতে একটি আবেদন জমা দেন। সেই নিয়ে ED-কে জবাব দিতে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত বলে, "দু'পক্ষের কথাই শুনেছি। আপাতত কোনও রক্ষাকবচ দিচ্ছি না আমরা।" বেআইনি ভাবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার বার সমন পাঠানো হচ্ছে বেল দাবি করেন কেজরিওয়াল।


এই আবগারি দুর্নীতি মামলাতেই জেলবন্দি রয়েছেন আম আদমি পার্টির মণীশ সিসৌদিয়া এবং সঞ্জয় সিংহ। মামলার চার্জশিটে একাধিক বার কেজরিওয়ালের উল্লেখ করেছে ED. তদন্তকারীদের দাবি, আবগারি নীতির রূপরেখা তৈরিতে কেজরিওয়ালের সঙ্গে সংযোগ ছিল অন্য অভিযুক্তদের। তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হয়, যাতে AAP-এর ঝুলিতে টাকা ঢোকে।