অনির্বাণ বিশ্বাস, আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের আড়াল করছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ তুলে ফের পথে নামল SFI ও DYFI। আজ বিকেলে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যরা কলেজ স্ট্রিট থেকে মৌলালি পর্যন্ত মিছিল করেন। ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠনের পর ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও, রিপোর্ট জমা পড়েনি। বাম ছাত-র যুবদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই নিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা দাবি জলঘোলা করতে নেমেছে বামেরা। পরীক্ষার সময় কেন বিক্ষোভ? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। 


এর আগে গতকাল জেল থেকে বেরিয়েই ৯ দিন বাদে  ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 'আন্দোলন চলবে। ভয় পওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। যতদিন পর্যন্ত না আনিস খানের খুনিরা গ্রেফতার হচ্ছেন ছাত্রযুবরা পথে ছিল আছে থাকবে।' মাঝে জেলে থাকার প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'আন্দোলন করার পথে বামপন্থীদের জেল খাটার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু খারাপ লাগা এখানেই যে কারণে আমাদের একাধিক জনকে জেলে রাখা হল সেই দশদিনও কিন্তু আনিস খানের খুনিরা বুক চিতিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াল। পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র-যুব ও সাধারণ মানুষের কাছে যা ভয়ঙ্কর তিক্ত এক অভিজ্ঞতা। আর মাঝে গোটা সময়টায় দেখেছি কীভাবে পুলিশের সক্রিয়তা লোপ পেয়ে যাচ্ছে।' 


প্রসঙ্গত, আনিস খানের মৃত্যুতে দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচলায় বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশের ওপর হামলায় ইন্ধনের অভিযোগে মীনাক্ষী সহ ১৬ জন বাম যুব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন মীনাক্ষী ছাড়া পাওয়ার আগে তাঁর জন্য আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের সামনে জমায়েত করেছিলেন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই-এর নেতাকর্মীরা। একই ভাবে জেলগেটের মুখে সক্রিয় ছিল পুলিশ। ছাড়া পেয়েই নতুন উদ্যমে আন্দোলনের ডাক দেন মীনাক্ষী।