কলকাতা: বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান ১০ দিনে পড়ল। ১৩ ফেব্রুয়ারি জরুরি পরিষেবা বজায় রেখে ফের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তারা।                                                                               

ধর্না-অবস্থান ১০ দিনে পড়ল:
লাগাতার আন্দোলন। বুধবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন। শনিবার দুপুর ১টা থেকে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন। বকেয়া DA-র দাবিতে রাজপথে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ৩৩টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ।

এই পরিস্থিতিতে, ১৩ ফেব্রুয়ারি জরুরি পরিষেবা বজায় রেখে ফের কর্মবিরতির ডাক দিলেন আন্দোলনকারীরা। রবিবার, বকেয়া DA-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান ১০ দিনে পড়ল।এদিনও, শহিদ মিনার চত্বরে ছবিটা ছিল একইরকম। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড। মুখে মুখে স্লোগান। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ, “কাল ও পরশু ভাবার সময় তারপর আমরা বুধবার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা। ১৩ তারিখ জরুরি পরিষেবা বজায় রেখে কর্মবিরতি।’’ রবিবার, আন্দোলনমঞ্চে আসেন এপিডিআরের সদস্য, মানবাধিকারকর্মী রঞ্জিত শূর। দুপুরে ১টা নাগাদ ফলের রস খেয়ে প্রতীকী অনশন ভঙ্গ করেন যৌথ মঞ্চের ৩২ জন সদস্য।

কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয়েছেন ৩৫ শতাংশ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির টানাপোড়েন চলছে বহু দিন ধরে। এই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রায়ে উল্লেখ করে, DA সরকারি কর্মীদের অধিকার। ওই মামলাতেই  সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ ৩ মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।                                    


কিন্তু, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। ১৫ মার্চ তার শুনানি হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে, বকেয়া DA-র দাবিতে এবার আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে চাইছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: North 24 Parganas: বারাসাত জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, বাজিমাত বাম-কংগ্রেস জোটের