কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলার ওপর নজরদারির জন্য গঠিত কমিটি (Gangasagar Mela monitoring panel) থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)বাদ দেওয়া নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য সরকার তাঁকে ভয় পায় বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর এই দাবি প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কটাক্ষ, রাজ্য সরকার তুচ্ছ মানুষকে কেন ভয় পাবে?
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার ওপর নজরদারির জন্য গঠিত কমিটি থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।এই নিয়েই এখন চরমে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গতকালই এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিজেপি। এদিন তৃণমূল সরকারকে সরাসরি নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতাকে ভয় পায় রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা হল বিরোধী দলনেতাকে আটকাও।
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কেউ কাউকে ভয় পায় না। রাজ্য সরকার ওইরকম একজন তুচ্ছ মানুষকে ভয় পাবে কেন?
রাজ্যে করোনার মারাত্মক সংক্রমণবৃদ্ধির আবহেই হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। মেলার কোভিড পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে, ৩ সদস্যের কমিটি তৈরি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমে সেই কমিটিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মেলা কমিটিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে রাখা নিয়ে আপত্তি তোলে রাজ্য সরকার। এরপরই, মঙ্গলবার পুরনো কমিটি বদলে, গঙ্গাসাগর মেলার ওপর নজরদারির জন্য, নতুন ২ সদস্যের কমিটি তৈরি করে কলকাতা হাইকোর্ট।বাদ দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
এ’নিয়ে এবার, সরাসরি রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন তিনি। বললেন, প্রথমত শুভেন্দু অধিকারী ব্যক্তি নন, বিরোধী দলনেতা। কালকে রাজ্য সরকারের আপত্তি, এই যে পিটিশনগুলো সব রাজ্য সরকার করিয়েছে। রাজ্য সরকার বিজেপিকে ভয় পায়, বিরোধী দলনেতাকে ভয় পায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা হল বিরোধী দলনেতাকে আটকাও।
এ ব্যাপারে ফিরহাদ বলেছেন, কেউ কাউকে ভয় পায় না। রাজ্য সরকার ওইরকম একজন তুচ্ছ মানুষকে ভয় পাবে কেন? রাজ্য শুধু একা নয়, সব দল একসঙ্গে হাইকোর্টের কাছে প্রস্তাব করেছিল, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পর্যবেক্ষণ করবেন কেন? সে তো রাজনৈতিকভাবে সরকারকে বদনাম করার জন্য..বিভেদগামী রাজনীতি করবে। নিরপেক্ষতার প্রশ্নে হাইকোর্টে সওয়াল করা হয়েছে।
করোনাবিধি মেনে সাগর মেলা করার দাবি জানিয়েছে বিজেপি।শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। কারও কোনও উদ্যোগ নেই। আমরা কখনও বলিনি গঙ্গাসাগর মেলা করতেই হবে। আবার এটাও বলিনি বন্ধ করতে হবে। অনেকভাবে ধর্ম-কর্ম, আচার-আচরণ করা যায়। জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সমঝোতা করা উচিত নয়।
আর দু’দিন পরেই গঙ্গাসাগরে শাহী-স্নান।তার আগে বাড়ছে রাজ্য রাজনীতির তরজাও।