কলকাতা: দাড়িভিটে গুলিতে (daribhit student death) ২ ছাত্রের মৃত্যু, প্রশ্নের মুখে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (state human rights commissiom)। 'গোটা ঘটনায় নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রেখেছে কমিশন। দূর থেকে গোটা ঘটনা দেখছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন', কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha)। 'ডিএম-এসপির উপর এতটাই ভরসা যে রিপোর্ট চেয়েই দায়িত্ব শেষ! ২০২০ সাল থেকে কমিশনের সদস্য ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে। ২০১৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ছিল, সেই সময় কি করেছে রাজ্য কমিশন?', রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের। 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশন লোক পাঠিয়ে একাধিক রিপোর্ট তৈরি করেছে। সে রিপোর্ট নিয়ে যতই বিতর্ক হোক, তবুও তারা করেছে, আপনারা কী করেছেন?', রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গুলিতে খুন হন দাড়িভিটের ২ ছাত্র।



মাসখানেক আগে প্রশ্নে সিআইডি...
মাসখানেক আগে একই মামলায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সিআইডি। তদন্ত শেষ করতে ৪ বছর লাগল কেন? যে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাদের কি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CID? হাইকোর্টের এমনই একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা CID। ২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দাড়িভিট। ছাত্র-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দাড়িভিট হাইস্কুল চত্বর। মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মন নামে ২ প্রাক্তন ছাত্রের।  কারা চালিয়েছিল গুলি? এই প্রশ্নে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তভার নেয় CID। কিন্তু, CBI তদন্তের দাবি তোলে নিহতদের পরিবার। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। CID- এর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, সাংসদ, বিধায়ক, উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কী তথ্য পাওয়া গেছে? যে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? করা হয়ে থাকলে তাঁরা কী জানিয়েছেন?ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলির খোল উদ্ধার করলেও, সেগুলি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই অভিযোগ কেন উঠেছে? CID-র উদ্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আরও বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অনুসন্ধান করে CBI তদন্তের পক্ষে সুপারিশ করেছে। কিন্তু, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন প্রথমে অনুসন্ধান করলেও, পরে তারা সরে আসে কেন? এনিয়ে CID-র বক্তব্য় কী? দাড়িভিটে গুলিকাণ্ডে কেস ডায়েরি তলব করে হাইকোর্ট।এবার প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও।


আরও পড়ুন:লাগবে না এসি, ফ্যানের সঙ্গে কীভাবে বরফ রাখলে ঠান্ডা হয় ঘর, জানুন সেই পদ্ধতি