উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও আশাবুল হোসেন, খেজুরি: পুরভোটের আগে মানুষকে ভয় দেখাতে, খেজুরিতে মজুত করা হয়েছিল বোমা। তেসরা জানুয়ারির বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে NIA। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছেন, যাঁদের নির্দেশে বোমা মজুত হচ্ছিল, তাঁদেরও গ্রেফতার করতে হবে। এনিয়ে তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, বিজেপি কোথাও প্রত্যাখ্যাত হলেই তৃণমূলের নাম জুড়ে দিচ্ছে। 


বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর: ৩ জানুয়ারি, বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Midnapur) খেজুরির জনকা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমা ফেটে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর। সেই ঘটনায়  তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি NIA।


ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে, NIA’র তরফে আদালতে যে আবেদন করা হয়, সেখানে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। NIA’র আবেদনে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে, পুরভোটের আগে মানুষকে ভয় দেখাতে, বোমা বানিয়ে মজুত করা হয়েছিল। 


প্রেক্ষাপট: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Midnapur) পুরসভাগুলোতে ভোট হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। ফল প্রকাশিত হয় ২ মার্চ। তার পরদিনই খেজুরি (Khejuri Blast) বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরিকে (Akhil Giri) ডেকে পাঠায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা NIA। এবার ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে তারা দাবি করল, পুরভোটের জন্যই বোমা মজুত করা হয়েছিল। ‘পুরভোটের আগে মানুষকে ভয় দেখাতে বোমা মজুত’ খেজুরি বিস্ফোরণকাণ্ডে দাবি NIA’এর


প্রতিক্রিয়া: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, কাঁথির ভোট লুঠ করার জন্য বোমা বাঁধছিল। যাঁরা মশলা কিনে দিয়েছিল, যাঁরা নির্দেশ দিয়েছিল, সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে।


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, বিজেপি যেখানে যেখানে টিকতে পারছে না। সেখানে নেতাদের নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি এলাকায় প্রত্যাখ্যাত হলেই টিএমসি নেতাদের নাম জুড়ে দিয়েছেন৷ আসলে গণতন্ত্রের ষষ্ঠী পুজো করছেন। রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে। সবমিলিয়ে তিন মাস পরও খেজুরি বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম।