কলকাতা: হাওড়াকাণ্ডে কড়া বিবৃতি জারি করলেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস। এদিন বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, 'মানুষকে বোকা বানাতে পারবে ভেবে যারা হিংসার আশ্রয় নেয় তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে তারা মুর্খের স্বর্গে বাস করছে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। রামনবমীর দিন জনগণের সম্পত্তিতে আগুন লাগানো প্ররোচনামূলক। ধর্ম রক্ষায় লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিলেন হনুমান।'


কী প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের?   


হাওড়ার শিবপুরে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষের পর আজ ফের অশান্তি। পরপর ভাঙচুর দোকান, বহুতল লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। র‍্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। গতকাল ও আজকের হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি কর্মীদের বাধা দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পরে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। গোটা ঘটনা নিয়ে এদিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। গতকাল শিবপুরে রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশের তরফে জানানো হয় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। এদিন ফের নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। কেন ফের এই পরিস্থিতি তৈরি হল? পুলিশের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? আবারও যাতে এই ধরনের অশান্তি না হয়, তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? স্বরাষ্ট্রসচিবের থেকে এই সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান রাজ্যপাল। এরপরই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া বিবৃতি জারি করেন সি ভি আনন্দ বোস। 


হাওড়ার ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজভবন রাজভবনের তরফে জারি করা কড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'হাওড়ার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য় রাজ্য়পাল ও মুখ্য়মন্ত্রীর মধ্য়ে কথা হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়ার জন্য় রাজ্য় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য়পাল। এই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য় কঠোর ব্য়বস্থা নেওয়ার ব্য়াপারে মুখ্য়মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন।...ঘটনার দিকে প্রতি মুহূর্তে নজর রেখে চলেছে রাজভবন এবং এর জন্য় একটি স্পেশাল সেল তৈরি করা হয়েছে।'


হাওড়ায় কী ঘটেছিল


সংঘর্ষ। ভাঙচুর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। গাড়িতে আগুন! বৃহস্পতিবার রামনবমীর মিছিল ঘিরে এমনই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার জিটি রোড চত্বর। ভয়ে, তড়িঘড়ি দোকানের ঝাঁপ নামালেন ব্য়বসায়ীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ. স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে তেতে ওঠে এলাকা। মুহূর্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ২ পক্ষ। পরপর গাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে বাস, টোটো, অটো, দাঁড়িয়ে থাকা মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ করে ছোড়া হয় ইট পাটকেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে, হাওড়া সিটি পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামে র‍্যাফ। তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: Duare Sarkar: কাল থেকে শুরু দুয়ারে সরকার, মিলবে চারটি নতুন প্রকল্পের পরিষেবা