পার্থপ্রতিম ঘোষ, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন, কলকাতা : কলেজ স্ট্রিটে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা, জোড়াসাঁকো থানার OC-কে চড় মারার ঘটনায় FIR দায়ের করল পুলিশ। জোড়াসাঁকো থানায় তলব করা হয়েছে SFI-এর কলকাতা জেলার সভানেত্রী বর্ণনা মুখোপাধ্যায়কে। এই ঘটনায় SFI নেত্রী-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। 

বুধবার মোদি সরকারের শ্রমনীতির প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটের দিন, দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে সিপিএম নেতাকে সপাটে চড় মেরেছিলেন এক আইসি। বুনিয়াদপুরে বামেদের জমায়েতে বাধা দেয় পুলিশ। ধর্মঘট সমর্থনকারীদের সঙ্গে বচসা বাধে বংশীহারি থানার IC-র। এরপরই সিপিএম নেতাকে সপাটে চড় কষান বংশীহারি থানার IC অসীম গোপ। বাম নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অন্য়দিকে, কলেজ স্ট্রিটে জোড়াসাঁকো থানার OC মৃণালকান্তি মুখোপাধ্যায়কে চড় মারতে দেখা গেছিল SFI-এর কলকাতা জেলার সভানেত্রী বর্ণনা মুখোপাধ্য়ায়কে।

কলেজ স্ট্রিটের এই ঘটনায় FIR দায়ের করল পুলিশ। জোড়াসাঁকো থানায় তলব করা হয়েছে SFI-এর কলকাতা জেলার সভানেত্রী বর্ণনা মুখোপাধ্যায়কে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীকে কাজে বাধা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জোড়াসাঁকো থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে SFI নেত্রীকে। 

এ প্রসঙ্গে SFI-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, "ঘটনাটা একজন ছাত্রী... একাধিক ছাত্রী, তাঁদের উপর পুলিশি নির্যাতন রাস্তায়, পুরুষ পুলিশ মারধর করছে, পুরুষ পুলিশ ম্যানহ্যান্ডেল করছে...যা মামলা করেছে মিথ্যা মামলাকে..আমাদের সংগঠনকে গোটা রাজ্যজুড়ে যদি মিথ্যা মামলার তালিকা তৈরি হয়, তাহলে কয়েক হাজার মিথ্যা মামলা আছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে এসএফআইকে দাবিয়ে রাখা যায়নি কোনওদিন, দাবিয়ে রাখা যাবে না।"  

বুধবার এই ছবি সামনে আসার পরই, তা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করেন তৃণমূল নেতারা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "আইন আইনের পথে চলবে। যদি OC-কে চড় মেরে থাকেন, সেটা সবাই দেখেছেন। ১২-১৩জন মিলে যদি সেই রাস্তাটা বৃষ্টির দিনে আটকে রাখতে চান, সেখানে পুলিশ সরাবে না ? কলেজ স্ট্রিট পুরোদস্তুর স্বাভাবিক। বাস-যানবাহন-পথচারী-ব্যবসায়ী ...এত মানুষ রাস্তায় ...মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে এদের...সেইসময় পুলিশের OC-র গায়ে হাত দিয়েছেন। যা হওয়ার তা-ই হবে। "    

সব মিলিয়ে, চড় নিয়ে রাজ্য় রাজনীতির পারদ এখনও বেশ চড়া।