সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ফের পড়ুয়া বিক্ষোভ (Presidency University Student Agitation)। হিন্দু হস্টেলের বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা অংশ ও মেস খোলার দাবিতে সোচ্চার পড়়ুয়ারা। শুক্রবার বিকেলে পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মেসের জন্য মাসিক ৩২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও পড়ুয়ারা এই প্রস্তাব মানতে নারাজ। তাই এখনও অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। 


হিন্দু হস্টেল নিয়ে এর আগেও আন্দোলনে নেমেছে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। হস্টেলে অব্যবস্থার বিরুদ্ধে তোলপাড় হয়েছে ক্যাম্পাস। ফের একবার,হস্টেলের দাবিতে আন্দোলনে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। হস্টেলের বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা অংশ খোলার দাবি,এবং মেস চালুর দাবিতে ফের বিক্ষোভে নামল পড়ুয়াদের একাংশ।


শুক্রবার ডিন অফ স্টুডেন্টসের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর,রাতভর কার্যত ঘেরাও করে রাখা হয় ডিন অফ স্টুডেন্টস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট অফিসারকে। পড়ুয়াদের দাবি, কোভিডের পর থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া মেস ব্যবস্থা ফের চালু করতে হবে। এই মুহূর্তে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে হিন্দু হস্টেলের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড। সেই বন্ধ অংশ খোলারও দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। এই মুহূর্তে মেস খরচ বাবদ মাসিক ১৭ হাজার টাকা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করার দাবিও জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। 


গতবছর জুলাই মাসে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল সংস্কার ও মেস চালুর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। ডিন অফ স্টুডেন্টস ও ডিন অফ সায়েন্সের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন তাঁরা।   দিনের পর দিন সমস্যা বেড়েছে, কিন্তু সমাধান মেলেনি। এই অভিযোগে গতবারও আন্দোলনে নেমেছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। ডিন অফ স্টুডেন্টস ও ডিন অফ সায়েন্সের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন পড়ুয়ারা। যার জন্য দুই ডিন রাতভর আটকে ছিলেন অফিসেই।


আরও পড়ুন, ফের ভিজবে পাহাড় ? আগামীকাল কেমন আবহাওয়া থাকবে উত্তরবঙ্গে ?


 পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, হিন্দু হস্টেলের ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড ২০১৫ থেকে বন্ধ। এর ফলে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল প্রায় ২০০ ছাত্র হস্টেলে থাকার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন হস্টেল সংস্কার হয়নি ও মেস পরিষেবা বন্ধ। হোস্টেলের বেড চার্জ দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ, ওয়াইফাই বা মেসে খাবারের ব্যবস্থার মতো সাধারণ সুযোগসুবিধা দিতে ব্যর্থ কর্তৃপক্ষ। এই প্রেক্ষিতেই  আন্দোলনে নেমেছিল পড়ুয়ারা। তবে তাঁদের দাবি ছিল, কাউকে ঘেরাও করা হয়নি। শান্তিপূর্ণ অবস্থানই চলছিল। চাইলে তাঁরা বেরিয়ে যেতেই পারেন। সমস্যার সমাধান না হলে বড়সড় আন্দলোনে নামার হুমকি দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। দেখতে দেখতে বছর পার। ফের প্রেসিডেন্সিতে পড়ুয়া বিক্ষোভ প্রকাশ্যে।