নদিয়া: ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে খুন করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার বীরনগরে। সেখানে ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে কুপিয়ে খুনপ্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় খুন, দাবি নিহত ছাত্রীর পরিবারের। খুন, অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক। প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় উত্যক্ত করত যুবক, দাবি পরিবারের।

সূত্রের খবর, গতকাল মামার বাড়িতে যাচ্ছিল বছর ১৬-র কিশোরী। মুখ চাপা দিয়ে টেনে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে  পুলিশ সূত্রের খবর। এরপর রাতেই জঙ্গলের মধ্যে থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। তরুণের হাতে অনেক জায়গায় কাটা দাগ দেখে সন্দেহ স্থানীয়দের। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত।

স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা গিয়েছে। কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল সেই যুবক। রাস্তাঘাটে মাঝেমধ্য়েই উত্যক্তও করত। কিন্তু বারবার কিশোরীর বারণ সত্ত্বেও তা শোনেনি অভিযুক্ত যুবক।

কিছুদিন আগে অদ্ভুত এক প্রেম, বিদ্বেষের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে। বিবাহিতা প্রেমিকার সঙ্গে জীবন কাটাচ্ছিলেন এক যুবক। কিন্তু সেই প্রেমেই হঠাৎ বিদ্বেষ চলে এসেছিল বিনোলা গ্রামে ২৪ বছর বয়সী এক বিবাহিত মহিলাকে পর পর ছুরির আঘাতে খুন করা হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছিল যে তার প্রেমিক অন্য পুরুষকে দেখার কারণে তাকে এভাবে কুপিয়ে খুন করেছিল। নীলম তার স্বামীর সঙ্গে বিনোলা গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এবং একই জায়গায় কাজ করতেন। পুলিশের মতে, তার স্বামী সাক্ষ্য দিয়েছেন যে বিনোদ এবং সুধীর নামে দুই পুরুষের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন যখন সে বাড়ি ফিরে আসে, তখন সে দেখতে পায় যে সুধীরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার বিষয়টি নিয়ে বিনোদের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে। 

কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। সোনারপুর থানার মাহিনগরের ঘটনা। প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে নিয়ে স্বামীকে খুনের ছক কষেছিল স্ত্রী। তবে সেই ষড়যন্ত্রের জালেই শেষ পর্যন্ত প্রাণ গেল তাঁরই। স্ত্রীকে খুনের পর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী। সোনারপুরের ভাড়াবাড়ির পাশের ঘরেই থাকতেন সুপ্রকাশ দাস ও তার স্ত্রী। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সুপ্রকাশের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা যায়। সেখান থেকে শুরু অশান্তির।