রায়গঞ্জ: গবেষণায় চপ শিল্প। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়ে গবেষণা করেছেন মালদার গাজোলের এক ছাত্রী। গবেষণার বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চপ শিল্প গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে, দাবি অধ্যাপক ও গাইডের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


এবার গবেষণার বিষয় চপ শিল্প: ৭ বছর আগে শিল্প নিয়ে নতুন তত্ত্ব উঠে এসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। এবার তা-ই উঠে এল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বিষয়ে। ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? “আমার পাড়ায় কয়েকটি তেলেভাজার দোকান আছে। যাঁরা তেলেভাজা বিক্রি করে চার-পাঁচ-দশতলা বাড়ি করেছেন। বড় ব্যবসাও করছেন। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।’’ চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা করেছেন ভূগোলের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী কণা সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, মালদার গাজোলের ১ ও ২ নম্বর ব্লক ও করকোচ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সমীক্ষা চালিয়েছেন গাজোলের বাসিন্দা ওই ছাত্রী। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে গবেষণাপত্রের শিরোনাম। গবেষণাপত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ও বিষয় নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যোগাযোগের চেষ্টা হলেও, ফোন ধরেননি গবেষক ছাত্রী। এ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ছাত্রীর গাইড।


 



 


রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার গাইড ও অধ্যাপক তাপস পাল বলেন, “গবেষণায় উঠে এসেছে চপ বিক্রি করে মাসে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার মহিলাদের। ছেলেরা মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারে। রাজ্যে বহু মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। যারা চপ বিক্রি করেন তাদের রোজগার সম্পর্কে তথ্য নেই। তাই গবেষণা।’’ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন দীপককুমার রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নাম দিয়ে গবেষণাপত্র বাঞ্ছনীয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেটা জমা পড়েছে সেখানে নাম নেই।’’


শুরু রাজনৈতিক তরজা: ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়’ চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা। আর ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বাম-বিজেপি। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সহ সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন, “চপ শিল্পীদের গবেষণা হতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম থাকবে কেন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সীমাহীন চাটুকারিতা। শিক্ষিত ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে চাকরি পাবে না। তারা চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা করবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করতে হবে।’’ পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এবিষয়ে দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ফিরহাদ হাকিম বলেন, “চপ শিল্প নিয়ে এত কিছু হচ্ছে। সমাজের পিছিয়ে মানুষকে ছোট করতেই বিরোধীদের সমালোচনা।’’ চপ শিল্পে গবেষণা নিয়ে সোশাল মিডিয়াতেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। 


আরও পড়ুন: North 24 Pargana: বাংলায় বসে উত্তরাখন্ডের প্রধান বিচারপতির অ্যাকাউন্ট হ্যাক, গ্রেফতার ১