শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নেতাজি কে ছিলেন ? হয়তো বলতে পারবেন না এদের মধ্যে অনেকেই, কিন্তু তাঁর জন্মদিনের অপেক্ষা করে কোচবিহারের তোর্ষা নদীর চরের কচিকাচারা। নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে একটু অন্যভাবে কাটায় কোচবিহার শহরের তোর্ষা নদীর চর এলাকার খুদেরা। প্রতিবছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে তারা। খেলাধুলা, নাচ-গান নতুন পোশাক খাওয়া-দাওয়া সবকিছুই চলে। সৌজন্যে কোচবিহারের একদল উদ্যমী মানুষ। এরা কেউ ব্যবসায়ী কেউ বা চাকুরিজীবী আবার কেউ নিতান্তই ছাত্র।


যাদের কাজ সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সহযোগিতা করা


প্রতিবছর ২৩ জানুয়ারি কোচবিহার শহর এর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তোর্ষা নদীর চর সংলগ্ন এলাকার শ'দুয়েক ছেলেমেয়েদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেন তাঁরা। এবছরও একইভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন কোচবিহারের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সবাই মিলে তৈরি করেছেন 'বন্ধু সবসময়' নামে একটি সংস্থা, যাদের কাজ সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সহযোগিতা করা।


বিয়ে থেকে চিকিৎসা,  পাশে  'বন্ধু সবসময়'


সারা বছর ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে থাকেন তারা। নিজেদের মধ্য থেকেই চাঁদা তুলে কারও বিয়েতে সাহায্য, কারও রক্তের প্রয়োজন হলে এগিয়ে যাওয়া, চিকিৎসাজনিত সাহায্য ইত্যাদি করে থাকেন তারা। আর বছরের একটা দিন তাদের কাছে খুবই স্পেশাল। এই দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে হুল্লোড়, কচি কাচাদের নিয়ে বিভিন্ন রকম খেলা নাচ গান অনুষ্ঠিত হয়, এবং তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনেককে দেওয়া হয় নতুন জামা কাপড় জুতো অথবা শীতের পোশাক। থাকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা।


আরও পড়ুন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় দাঁড় করিয়ে চিনা জওয়ানদের দিয়ে 'জয় শ্রীরাম' বলাল ভারতীয় সেনা !


' আমরা চাই সকল শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে, ওরাও সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই দিনটির জন্য'


এক পাতেই বসে খান উদ্যোক্তা থেকে স্থানীয় পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়ে ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। উদ্যোক্তাদের অন্যতম শহরের অন্যতম বস্ত্র ব্যবসায়ী ভাস্কর ঘোষ বলেন,' আমরা চাই সকল শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে, ওরাও সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই দিনটির জন্য। আমাদেরও ভালো লাগে যখন ওদের হাসি মুখগুলি দেখি, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি এই কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, তবে অনেক প্রতিকূলতা আছে কিন্তু সকলের সহযোগিতায় আশা করি তা সম্ভব হবে।'